আরিফের ১০ বছরের সাজা মওকুফ স্থগিত : হাইকোর্টে দুর্নীতি মামলা পুনরায় শুনানির আদেশ

arifডেস্ক রিপোর্টঃ কারান্তরীণ সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র (বরখাস্তকৃত) আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় স্থগিত করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মামলাটি আবার হাইকোর্টে শুনানির জন্য নির্দেশ দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে মামলার শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। আরিফুলের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট এ এম আমিনউদ্দিন ও অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন আহমদ রতন ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক’র আইনজীবী সাইফুদ্দিন আহমদ রতন বলেন,‘ আরিফুল হক খালাস পেয়েছেন এ মামলায়। রাষ্ট্রপক্ষ যেহেতু আবার আপিল করেছে, সেহেতু এ মামলার রায়ের খালাসের ওপর আবার শুনানি ধার্য করেছেন আদালত। যে কারণে আরিফুল হকের খালাস স্তগিত হয়েছে। তবে, তার জামিন বাতিল হয়নি। আর ইতোপূর্বে নিন্ম আদালতের সাজার রায় ও হাইকোর্টের খালাসের রায় বাতিল হয়ে গেল। এখন নতুনভাবে শুনানী শেষে রায় ঘোষণা করা হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে ১/১১ এর পর ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্বাবধায়ক সরকার প্রথম শীর্ষ ৫০ দুর্নীতিবাজের তালিকা প্রকাশ করে। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক আরিফুল হক চৌধুরীর সম্পদের সন্ধানে নামে। দীর্ঘ তদন্তকালিন সময়ে আরিফুল হককে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায় যৌথবাহিনী।
২০০৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির এ মামলাটি করে দুদক। এতে প্রায় আড়াই কোটি টাকার সম্পদ দুর্নীতি করে অবৈধভাবে অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ২৩ জুন সিলেটের বিশেষ আদালত আরিফুলকে দুধক আইনে পৃথক দুটি ধারায় ১০ বছরের কারাদন্ড ও তার অবৈধ সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দেন। দুধকের একটি ধারায় ৭ বছর ও ওপর ধারায় ৩ বছরের সাজা দেন। এছাড়া অর্থদণ্ডও দেন আদালত।
পরে ১৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন ১০ বছরের সাজা পাওয়া আরিফুল হক চৌধুরী। ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল হাইকোর্ট তাঁকে খালাস দেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে লিভ টু আপিল দায়ের করে। গত বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ লিভ টু আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে দেন আদালত। ফলে সিলেটের নিম্ন আদালতের দেয়া রায় বহাল থাকলো।