‘মাসউদের বুকের উপর দাঁড়িয়ে গুলি চালায় পুলিশ’
ডেস্ক রিপোর্টঃ মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু ও মৃত্যু পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় ছাত্ররা নয়, দুষ্কৃতিকারীরাই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন জামিয়া ইসলামীয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মোবারক উল্লাহ।
শুক্রবার সকাল ১১ টায় জেলা শহরের কান্দিপাড়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় মুফতি মোবারক উল্লাহ ‘ছাত্র মাসউদ হত্যা ও পরবর্তী তা-বের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করেন’।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, জেলা সদর হাসপাতাল, রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, উস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনসহ সহিংসতার ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। সেই সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য রক্ষার আহ্বানও জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
মাদ্রাসা ছাত্র মাসউদুর রহমানের মৃত্যু বিষয়ে তিনি বলেন, সোমবার রাত ১১ টায় মাদ্রাসার চতুর্থ তলায় উঠে মাদ্রাসার মাদানি ছাত্রবাসে পুলিশ হামলা চালায়। এসময় হাফেজ মাসুদুর রহমানকে রাইফেল দিয়ে আঘাত করে নিচে ফেলে দিয়ে তার বুকের উপর পা দিয়ে চাপ দেয় এবং রাইফেল থেকে তাকে গুলি করা হয়। পরে চারতলা থেকে তাকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় প্রথমেই মাসুদকে উদ্ধার করে একটি বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- তালিমিয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান আশেকে এলাহী ইব্রাহিমি, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় প্রিন্সিপাল মুফতি মোবারক উল্লাহ, নাজিমাত তালিমাত মুফতি শামছুল হক, জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দেস মুফতি আবদুর রহিম কাসেমী, কউমি ছাত্র ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা ইউসুফ ভূইয়া, শায়খুল হাদিস বেলায়েত উল্লাহ, মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আলী আযম, কাজীপাড়া সৈয়দুন্নেসা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ইদ্রিস, মাজহারুল ইসলাম কাশেমী ও মুফতি এনামুল হক প্রমুখ। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।