গোয়াইনঘাটের বোগা হাওরে সরকারী গোপাট দখলের অভিযোগ

si jakir copyগোয়ইনঘাট প্রতিনিধিঃ গোয়াইনঘাট উপজেলার বোগা হাওর মৌজায় সরকারী গোচর ভুমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। জানাযায়,বোগা হাওর মৌজার ২৬৫ নং জে,এল ,স্থিত ১নং খতিয়ানের এস,এ ১৭৪,২৯৭,৪০১ ও ৪০৩ দাগের মোট ৬৭৩.৩১ একর ভুমি স্থানীয় ঘোষ গ্রাম, ঘোষ গ্রামদাতারী ও ব্রাহ্মণচটি গ্রামের প্রভাবশালী মহল দখল করে নিয়েছে। এ নিয়ে সিলেট বিভাগীয় রেঞ্জ ডিআইজি বরাবরে গতকাল বুধবার লিখিত ভাবে এ অভিযোগ করেন খলাচটি গ্রামবাসী। অভিযোগে উল্লেখ করেন, এর আগে খলাচটি গ্রামবাসী পক্ষ্যে জামাল উদ্দিন গত ২৪/১২/১৪ ইং মাননীয় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও দ্রুত বিচার আদালত এবং ইসমাইল আলী বাদী হয়ে প্রায় ২ বছর পূর্বে জেলা প্রশাসক সিলেট এ লিখিত অভিযোগ করেন। উক্ত ভুমি শ্মরণাতীতকাল হইতে খলারছটি ঘোষগ্রাম ও ব্রাহ্মণচটি গ্রামের লোকজন গোচর ভুমি হিসেবে ব্যবহার করিয়া আসিতেছে। কিš ‘স্থানীয় ঘোষ গ্রাম, ঘোষ গ্রামদাতারী ও ব্রাহ্মণচটি গ্রামের প্রভাবশালী ব্যাক্তি তাদের স্বর্থ হাসিলের জন্য এই ভুমির উপর অবৈধ ভাবে বাধ দিয়ে গোচর ভুমিতে মাটি কাটিয়ে ঢালু বা নীচু অংশে ৮ টি বাঁদ দিয়ে পানি আটকাইয়া বিল তৈরী করিয়াছে এবং প্রতি বৎসর মৎস আহরণের জন্য ২০/২৫ লক্ষ টাকায় নীলাম বিক্রয় করিয়া বিবাদীগণ টাকা ভাগ বাটোয়ারা করিয়া নেয়। এই অভিযোগ দেয়ার পর জেলাপ্রশাসনের নির্দেশে ও স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগীতায় উক্ত ভুমিতে দেওয়া অবৈধ বাধ গত ১৭ জানুয়ারী উচ্ছেদ করেন। এবং খলারছটি ঘোষগ্রাম ও ব্রাহ্মণছটি গ্রামের গরু মহিষের চারণ ভুমি হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশ দেন। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার পরপরই লাটি সেটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়া খলার চটিগ্রামবাসীর উপর হামলা চালাইয়া জোরপূর্বক দখল উক্ত সরকারী গোচর ভুমিতে অবৈধ ভাবে আবারও বাধ নির্মাণ করে দখল করে নিয়েছে ঐ মহল। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলা আইন শৃংখলা কমিটি ও উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই অবৈধ বাধ উচ্ছেদ হওয়া সত্বেও অবৈধ দখলদার গণ গোয়াইনঘাট থানার ওসির ছত্রছায়ায় সরকারী গোচর ভ’মি বিনষ্ট করিতেছে। যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে একাধিক সুত্র জানিয়েছে। শুধু তাইনয়, নালিশা গোচর ভুমিতে বাঁদ দিয়ে পানি আটকাইয়া রাখায় সারা বৎর সমস্ত গোচর ভ’মি পানিতে পূর্ণ হইয়া বিরাট জলাশয়ে পরিণত হইয়া যায় । যাহার ফলে সারা বছর গরূ মহিষ চরানোর কোন জায়গা থাকে না । উক্ত এলাকাবাসী সহ ঘোষগ্রাম ও ব্রামছটি খলাচটি মৌজার লোকজন নিরুপায় হইয়া গো-মহিষাদি পালন ও সরকারী গোচর ভ’মি রক্ষায় সংশ্লিষ্ঠ কর্তপক্ষের সুদৃষ্ঠি কামনা করেন।