এক হাজারেরও অধিক কবর খুঁড়েছেন একাত্তরের বীর-মুক্তিযোদ্ধা নমির খাঁন

মৃত্যুর সংবাদ শুনলে’ই ছুটে যেতেন তিনি

12516068_545040622344355_649443957_nএম এস জিলানী আখনজী, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা: পেশাদার কোন গোর খোদক নন তিনি। আশেপাশে কোথাও মুসলিম জাতির মৃত্যুর সংবাদ শুনলে’ই কোদাল কাঁধে নিয়ে ছুটে যেতেন তিনি। এক হাজারেরও অধিক কবর খুঁড়েছেন ৭১রের বীর-মুক্তিযোদ্ধা নমির খাঁন। বাল্যকাল জীবন থেকেই কবর খুঁড়ার অভ্যাস গড়ে উঠা এ বীরের জন্ম ১৯৪২ইং সালের ৪ই মার্চ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের গেরারুক নামক গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত মনজব খাঁন। ১৯৭১ইং সালের ২৭শে মার্চ দেশকে শত্রু মুক্ত ও স্বাধীন করতে এ বাঙ্গালী, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যোগদেন বি-বাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার অস্থায়ী ক্যা¤েপ। সেখান থেকে তেলিয়াপাড়া হয়ে ভারতের বেলচড়া ও টেংড়াবাড়ীতে সমস্ত ট্রেনিং গ্রহন করে সিলেটের জালালপুর হেড কোয়ার্টারে যোগ দেন। সেখানে যোদ্ধরত অবস্থায় নষ্ট করেন রেলষ্টেশনের আলী আমজাদ ঘড়িটি, পরে খোয়াই ফিরে আসেন। পাক হানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে যোদ্ধ করেন, সিলেট বিভাগের প্রত্যান্ত অঞ্চলে নবীগঞ্জ, পারকুল, মিরাশী নামক স্থানে। তার নং ছিল ২৬৫৬৪-৯৬৮৩-২৮৬ তার সেক্টর কমান্ডার ছিলেন চিত্ত রঞ্জন শিয়া দত্ত, কেপ্টেন চান মিয়া ও কমান্ডার ছাদী মিয়া। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে সিলেটে অস্ত্র জমা দিয়ে আবারও তিনি কবর খুঁড়তে শুরু করেন। এ পর্যন্ত তার খুঁড়া কবরের সংখ্যা প্রায় এক হাজার ৮টি। “তার’ই অকান্ত প্রচেষ্টায় পাকাকরণ হয় বীর-বিক্রম শহীদ আব্দুল খালেকের কবরটি এবং তার নামে একটি রাস্তাও করা হয়েছে।