বিশ্বনাথে খুন হওয়া মাদ্রাসা ছাত্র সালমান হত্যার রহস্য ১৫ দিনেও উদঘাটন হয়নি

Untitled-1গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি :বিশ্বনাথে গোলাপগঞ্জের ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র সালমান আহমদ (১৭) হত্যার রহস্য এখনো উদঘাটন হয়নি। হত্যার ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও কি কারণে সালমানকে হত্যা করা হয়েছে কিংবা কারা ওই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তা এখনও উদঘাটন করা হয়নি। অন্ধকারেই রয়েছে গেছে হত্যার রহস্য। এখনো পুলিশ প্রশাসন কিংবা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কিংবা অন্য কোন গোয়েন্দা সংস্থা এব্যাপারে সঠিক কোন তথ্য জনসম্মুখে তুলে ধরতে ব্যার্থ হয়েছে।
এদিকে, সালমানের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ‘প্রতিবাদী সিলেটবাসী’ নামের একটি সংগঠন পোস্টারিং করেছে। উপজেলার সর্বত্র জুড়ে ওই পোস্টারিং করার ফলে অনেকটাই নিসক্রিয় হয়ে যাওয়া প্রশাসনের হত্যার রহস্য উদঘাটন প্রক্রিয়া আবারও সক্রিয় হবে বলে ধারণা করছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণ।
গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে খুন করা হয় বিশ্বনাথ উপজেলা সদরস্থ জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসার ফজিলত ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সালমান আহমদকে। উপজেলা সদরের নতুন বাজার এলাকার তফজ্জুল আলী কমপ্লেক্স সামনে সালমান আহমদের লাশ ৩০ ডিসেম্বর সকালে পাওয়ার পর ঘটনাস্থ থেকে পুলিশ আটক করে সালমানের সহপাঠী ও প্রিন্সিপাল শিব্বির আহমদের ছোট ভাই মহসিন উদ্দিন নাঈমকে। বর্তমানে সেও (নাঈম) জামিনে রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত সালমান ও আটককৃত নাইমের মধ্যে গভীর বন্ধুন্তপূর্ন সম্পর্ক ছিল। তবে ঘটনার দিন (২৯ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকালে কোন একটি বিষয় নিয়ে সালমান ও নাইমের মধ্যে ব্যাপক বাগবিতন্ড হয়। বিকেলে তাঁদেরই সহপাঠীদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিমাংসাও হয়। পরবর্তিতে রাতে নাইম’ই সর্বশেষ মাদ্রাসা থেকে সালমানকে ডেকে বাইরে আনে বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে। আর পরের দিন বুধবার সকালে উপজেলার নতুন বাজারস্থ তফজ্জুল আলী কমপেক্স ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদের বাসার মধ্যবর্তি সড়ক থেকে সালমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সালমান আহমদ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের পূর্বগাঁও গ্রামের বাকপ্রতিবন্দি ছোটন মিয়া ও কুতুবি বেগম দম্পত্তির সন্তান। দীর্ঘদিন ধরে সে মাদ্রাসার বোডিং-এ থেকে লেখাপড়া করে আসছিল। সালমান হত্যার পর ৩১ ডিসেম্বর তাঁর (সালমান) মা কুতুবি বেগম বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২০ (তাং ৩১/১২/২০১৫ইং)। মামলার লিখিত অভিযোগে বাদিনী উল্লেখ করেছেন যে তিনি ধারণা করছেন, মরহুম মাওলানা আশরাফ আলীর পুত্র ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদের ছোট ভাই মহসিন উদ্দিন নাঈন অজ্ঞাতনামা দৃস্কৃতকারীদের যোগসাজশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাঁর (বাদিনী) পুত্র সালমানকে হত্যা করেছে।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) আব্দুল হাই বলেন, হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্তকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।