কোম্পানীগঞ্জে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে এলাকাবাসীর নিন্দা ও ক্ষোভ

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিট শহীদ স্মৃতি টুকেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল নানা কুৎসা রটনা করছে বলে এলাকার শিক্ষক, ছাত্র, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। জনৈক রাশেদ প্রাক্তন ছাত্র পরিচয় দিয়ে উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা কল্প কাহিনী তৈরি করে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগে জানা যায়। প্রধান শিক্ষকের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বীত হয়ে উক্ত মহল বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এলাকাবাসী। তারা দাবি করেন উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিগত ২ বছরে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ১০০%। জেএসসি পরীক্ষায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। সর্বোপরি জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষায় অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ভাল ফলাফল অর্জন করে যাচ্ছে। কিন্তু এসব সফলতাকে আড়াল করে প্রধান শিক্ষককে বির্তকিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদের বেতনের টাকা পরিশোধ না করলে পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়া হয়না, ভর্তি, শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য, মান স¤পন্ন শিক্ষকের অবমূল্যায়ন এই সবই কল্পকাহিনী ছড়ানো হচ্ছে। যা অপপ্রচার ছাড়া কিছু নয়। সকল বিদ্যাপীট শিক্ষা কারিকুলামে রীতিনীতি অনুসরণ করে পরিচালিত হয়। প্রকৃত পক্ষে অধ্যক্ষ গোলাম নবী একজন দক্ষ ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার মতো মান সম্পন্ন ব্যাক্তিত্ব। যার মাধ্যমে শহীদ স্মৃতি টুকেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় কলেজে রূপান্তিত হয়েছে। মূলত কতিপয় অদক্ষ শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে প্রাক্তন ছাত্র নামধারী যুবকদের সাথে অধ্যক্ষের মতবিরোধ হয়। তারা অন্যায়ভাবে বিদ্যালয়ের মাঠ ব্যবহার ও স্কুলের কাশরুমে মিটিং সভা করেত না পারায় অধ্যক্ষের সাথে তাদের বিরোধ বাধে। বিষয়গুলো নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ বিরোধ মিমাংসা করতে চাইলে তারা এড়িয়ে চলে এবং বিভিন্ন দফতরে স্মারকলিপসহ পত্র পত্রিকায় প্রকাশের মাধ্যমে অধ্যক্ষ্যের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার জন্য অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৪ সালে গোলাম নবী প্রধান শিক্ষক হিসাবে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ লাভ করেন। ২০১২ সালে স্কুলটি কলেজের রূপান্তরিত হয়। এই সফলতার পেছনে প্রধান শিক্ষক গোলাম নবীর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তার বিরুদ্ধে এই দীর্ঘ সময়ে কোন অভিযোগ উঠেনি। কিন্তু সম্প্রতি একটু কালো হাতের ইশারায় মানুষ গড়ার কারিগর সর্বজন শ্রদ্দেয় এই শিক্ষককে নিয়ে চালানে হচ্ছে নানা মিথ্যাচার। প্রাক্তন ছাত্র নামধারী রাশেদের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে শিক্ষককে নিয়ে অপপ্রচারে ঘটনায় এলাকায় ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সর্বমহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা শিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষায় সকল মহলকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান। বিবৃতি দাতারা হলেন শহীদ স্মৃতি টুকেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের পিটিএ কমিটির সভাপতি আবদুল আজিজ, সদস্য মনির হোসেন, শাহরিয়ার আল আজাদ, সেক্রেটারী এনামুল হক, শাহরিয়ার আল আজাদ প্রমুখ।