ইউএনও এবং ওসি অপসারণের দাবীতে চুনারুঘাটে ঝাড়ু মিছিল
চুনারুঘাট সংবাদদাতা : পৌর নির্বাচনে ঘুষ নিয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর ধানের শীষের পক্ষে ভোট কারচুপির অভিযোগে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাশহুদুল কবীর ও থানার ওসি অমুল্য কুমার চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঝাড়– মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামীলীগ অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠন।তারা অনতিবিলম্বে ইউএনও এবং ওসির অপসারণ দাবি করেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলা গেইটে থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ঝাড়– মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে মধ্যবাজারে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ মাষ্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিব, মদরিছ মিয়া মহালদার, আব্দুল হামিদ ফুল মিয়া, যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক আনোয়ার আলী, শামসুজ্জামান শামীম, সাংগঠনিক স¤পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদ আলী মাস্টার, মহিলালীগের সভাপতি আবিদা খাতুন, আওয়ামীলীগ নেতা শফিউল আলম মানিক, আব্দুর রউফ, কৃষকলীগের সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী প্রমুখ।বক্তারা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইউএনও মাশহুদুল কবীর এবং ওসি অমুল্য কুমার চৌধুরীর অপসারণ দাবি করেন। সভায় বক্তারা বলেন, রিটার্নিং অফিসার ইউএনও মাশহুদুল কবীর নির্বাচনে হাজী ইয়াসিন সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার ডাঃ সঞ্জীব সুত্রধরের মাধ্যমে ভোট চুরি করে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সাইফুল আলম রুবেলকে মাত্র ১৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত ঘোষণা করেন। পৌরসভার ১১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০টি কেন্দ্রের ফলাফল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার মধ্যে উপজেলায় আসলেও শহরের মধ্যে হাজী ইয়াসিন কেন্দ্রের ফলাফল রাত ৯টায় আনা হয়। ওই কেন্দ্রে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর ভোট কারচুপি করে বিএনপি প্রার্থীকে জয়ী দেখানো হয়। বক্তারা আরো বলেন, ওসি অমুল্য কুমার চৌধুরী নির্বাচনের আগে দলীয় নেতাকর্মীদের আটক এবং নানাভাবে হয়রানি করেন। ভোটের দিনও তিনি নেতাকর্মীদের আটক করেন।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশহুদুল কবীরের সাথে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। এদিকে শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।এর আগে রবিবার একই বিষয়ে জুতা মিছিল এবং সোমবার প্রতিবাদ সমাবেশ করে ছাত্রলীগ।