তাহিরপুর সীমান্তে চোরাচালান বৃদ্ধি, ভারতীয় কয়লাসহ ৬টি ঠেলাগাড়ি আটক

তাহিরপুর প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাচালানীরা। লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন পাচাঁর করা হচ্ছে কয়লা ও চুনাপাথর। গতকাল সোমবার ভোরে চোরাই কয়লা বোঝাই ৬টি ঠেলাগাড়ি আটক করেছে বিজিবি। কিন্তু চোরাচালানীদের আটক করতে পারেনি। আটককৃত মালামালের মূল্য ৭৪হাজার ৪শত টাকা। বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়,উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চাঁনপুর সীমান্তের ১২০১এর ৫এস পিলার সংলগ্ন গারোঘাট নামক স্থান দিয়ে গত রোববার দুপুরে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী মদ চোরাচালান মামলার জেলখাটা আসামী আবু বক্কর,আলমগীর,আল-আমিন,সম্্রাট মিয়া,লাল মিয়া ও আবুল কালাম ১৫-২০জন শ্রমিক নিয়ে ভারতে গিয়ে প্রথমে চোরাই কয়লা প্লাষ্টিকের বস্তা বোঝাই করে গুয়ায় রেখে আসে। এরপর গতকাল সোমবার ভোরে বারেকটিলার আবুল গফ্ফার ও আব্দুল আহাদের নির্দেশে ভারত থেকে ৬টি ঠেলাগাড়িতে বোঝাই করে কয়লাগুলো পাচাঁর করে যাদুকাটা নদীতে নিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি আটক করে। কিন্তু চোরাচালানীদের গ্রেফতার করেনি। অন্যদিকে লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী দিয়ে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার আসামী নুরু মিয়া,নবীকুল,জজ মিয়ার নেতৃত্বে প্রতিরাতে অবাধে কয়লা ও মদ,গাঁজা,নাসিরউদ্দিন বিড়ি,ঘোড়া পাচাঁর করা হচ্ছে। এছাড়া রাজাই এলাকা দিয়ে চোরাচালানী জম্মত আলী,হুমায়ুন মাস্টারের নেতৃত্বে কয়লা,বুরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন সীমান্তের ১২০০পিলার দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী মরা সিদ্দিক,চোরাচালানী মতি মিয়া,আব্দুল হান্নান,সালাম মিয়ার নেতৃত্বে কয়লা ও চুনাপাথর,বড়ছড়া ও টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার জেলখাটা আসামী শহিদ মিয়া,সোনালী মিয়া,দিলোয়ার হোসেন,কদর আলী,নুর মিয়া,কাচাঁ মিয়া,মোক্তার মিয়ার নেতৃত্বে চুনাপাথর,মদ,হেরুইন পাঁচার করাসহ লাকমা সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী সোর্স পরিচয়ধারী জিয়াউর রহমান জিয়া,ইদ্রিস আলী,আব্দুল হাকিম ভান্ডারী,রহমান মিয়া,লালঘাট সীমান্ত দিয়ে চাঁদাবাজি মামলার জেলখাটা আসামী আবুল কালাম,জানু মিয়া,আবুল আলী ভান্ডারী মদ,গাজা,কাঠ,মরাপাথর, নুরিপাথর অবাধে পাচাঁর করছে। এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক গোলাম মহিউদ্দিন বলেন,বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা ভারতীয় কয়লা এবং ঠেলাগাড়ি ফেলে পালিয়ে যাওয়ার কারণে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে সীমান্ত এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশসহ সকল ধরনের চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।