৫ জানুয়ারি নিকটে : ফের উত্তপ্ত হতে পারে দেশ!

Khaleda - Hasinaডেস্ক রিপোর্টঃ আগামী ৫ জানুয়ারি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দশম সংসদ নির্বাচনের ২ বছরপূর্তি হচ্ছে। এ দিনটিকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলের পৃথক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশ আবারও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দশম সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কারচুপির অভিযোগে বর্জন করেছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট এবং সিপিবি-বাসদ। অপরদিকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। নির্বাচনে ১৫৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এরপর নির্বাচনের এক বছরপূর্তিতে গত বছর বিএনপি চেয়ারপারসন অবরুদ্ধ ছিলেন দীর্ঘদিন। বিএনপির পূর্বঘোষিত জনসভা ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেয় নি সরকার। বিএনপির ডাকা টানা তিন মাসের অবরোধে ব্যাপক জ্বলাও-পোড়াও হয়। পেট্টোলবোমা সহ ব্যাপক নাশকতায় ১৬০জনের অধিক লোক দগ্ধ হন। মারা যান শতাধিক লোক।

বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদ ও ফুটেজে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের দ্বারা এ নাশকতা চালানোর সংবাদ এলেও বিএনপি এ নাশকতার জন্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দায়ি করে।

এদিকে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের দ্বিতীয় বছরপূর্তির দিনে ঢাকায় জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি, যাতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বক্তব্য রাখবেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২ জানুয়ারি) নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সভার পর ফখরুল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “২০১৪ সালের প্রহসনের নির্বাচনের দিনকে আমরা গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে চিহ্নিত করেছিলাম।

“এই দিবসটিকে স্মরণ করতে এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে পাওয়ার আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা আগামী ৫ জানুয়ারি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি শান্তিপূর্ণ জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশা প্রকাশ করেছেন, তাদের এই কর্মসূচিতে সরকার কোনো বাধা দেবে না।

অপরদিকে, দশম সংসদ নির্বাচনের বছর পূর্তির দিন ৫ জানুয়ারি কর্মসূচি থাকছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরও। শনিবার (২ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন দলের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

এই দিনটি ‘গণতন্ত্র রক্ষার দিন’ হিসেবে পালনে গত বছরও কর্মসূচি ছিল আওয়ামী লীগের।

বিএনপি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ ও আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ পালনের পৃথক ও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তপ্ত হতে পারে দেশ।