দেশে কর্মসংস্থান নেই, তাই এত সাংবাদিক : রওশন এরশাদ

Rowshon Ershadডেস্ক রিপোর্টঃ ‘দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় এত সাংবাদিক, এত ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া’ মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদ। তিনি বলেছেন, আমি গুণে গুণে দেখেছি, দেশে ৪০টি ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অথচ যেখানে ১০টি হলেই যথেষ্ট ছিল। ২৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। কিনি বলেন, আমাদের প্রার্থীদের ওপর কোথাও হামলা হয়নি। এতগুলো ইলেকট্রনিক মিডিয়া, এতগুলো সাংবাদিক, একটা খড়কুটো পড়েই আপনারা লিখে ফেলেন। আগে এত সাংবাদিক ছিল না, এত ইলেকট্রনিক মিডিয়াও ছিল না, এত খবর জানতেই পারত না মানুষ।
রওশন এরশাদ বলেন, দেশে প্রায় ৪০টি চ্যানেল আছে। দশটি চ্যানেল হলেই চলতো। কিছুদিন আগে আমি একটা অনুষ্ঠানে গুনে দেখেছি, প্রায় ৪০টি চ্যানেল আছে দেশে। কত চ্যানেল, কত সাংবাদিক, আপনারা খুঁজে খুঁজে নিউজ বের করেন। তিনি বলেন, অনেক সময় মনে হয় কম হলেই ভালো হতো। এখন অনেক খবর দ্রুত ছড়ায়। এতে মনে হয়, না ছড়ালেই ভালো হতো। আপনারা কিছু মনে করবেন না, যেহেতু দেশে কর্মসংস্থান নেই, তাই এ দশা। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকলে এ পেশায় আপনারা আসতেন না। এ সময় সাংবাদিকরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলে রওশন এরশাদ বলেন, আমি এভাবে কথা বলিনি। খালি সাংবাদিকরা না, সাংবাদিকতা ভালো জব। আমাদের ছেলেপেলেরা কাজ পাচ্ছে না। জব না পাওয়ায় ড্রাগ খাচ্ছে, এটা করছে সেটা করছে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এতদিন পর শহীদের নিয়ে প্রশ্ন তুললে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না। একটা সেন্টিমেন্টাল ইস্যু নিয়ে এমন কথা বলা দুঃখজনক।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়। ‘নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন, দেশে গণতন্ত্র নেই’ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, এরশাদ সাহেব দল ও নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার জন্যই এসব কথা বলে থাকেন। এসময় তিনি পৌরসভা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান। রওশন বলেন, নির্বাচনকে প্রহসন বলা যাবে না। এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। আমাদের প্রার্থীদের ওপর কোথাও হামলা হয়নি। আমরা নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকব। নেতাকর্মীদের মেরে বের করে দিলেও মাঠে থাকবে তারা।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল সংবিধান সমুন্নত রাখার নির্বাচন। দেশ ও সংবিধানের স্বার্থে নির্বাচনে আমরা অংশ নিয়েছিলাম। এ নির্বাচনকে বহির্বিশ্ব সমর্থন দিয়েছে। রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টি অনেক দিন ক্ষমতার বাইরে ছিল। এ কারণে আমরা সব জায়গায় প্রার্থী দিতে পারিনি। আশা করি, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিরা নির্বাচিত হবে। এসময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি, বিরোধী দলের চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, ফখরুল ইমাম এমপি, ইয়াহিয়া চৌধুরী এমপি, মেরিনা রহমান এমপি ও অধ্যাপিকা রওশন আরা এমপি উপস্থিত ছিলেন।