কৃষকদের বরাদ্ধকৃত কৃষি জমিতে ইকোনমিক জোন করার প্রতিবাদে কমলগঞ্জে মানববন্ধন
বিশ্বজিৎ রায়, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার চাঁন্দপুর চা বাগানের ফাঁড়ি বেগমগঞ্জ চা বাগানে শ্রমিকদের জন্য বরাদ্ধকৃত কৃষি জমিতে স্পেশাল ইকোনমিক জোন করার উদ্যোগের প্রতিবাদে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় শমশেরনগর চৌমুহনী চত্তরে চা ছাত্র যুব পরিষদের উদ্যোগে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচী পালিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচী পালনকালে বক্তব্য রাখেন সজল কৈরী, মোহন রবিদাস, সুমন কৈরী, মানিক পাল, রাম বচন কৈরী, মিখাইল পিরেগু প্রমুখ । মানববন্ধন কর্মসূচীতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক রামভজন কৈরী, শমশেরনগর এএটি এম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এ এবি এম আরিফুজ্জামান অপু, জাতীয় পার্টি কমলগঞ্জ উপজেলা সভাপতি দুরুদ আলী, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালি (অঞ্চল)-এর সাধারন সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা ও চা মজদুর পত্রিকার সম্পাদক সীতারাম বীন। এছাড়া চা শ্রমকি সন্তানদের সংগঠন উত্তরণ বাংলাদেশ, জাগরণ যুব ফোরাম, দুটি পাতা একটি কুঁড়ি সাংস্কৃতিক সংস্থা ও বিভিন্নœ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীরাও সংহতি প্রকাশ করে এ মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, চা বাগানে শ্রমিকদের জন্য বরাদ্ধকৃত কৃষি জমি (মাটি) আমার মা। আমার মাকে কেড়ে নিতে দেওয়া হলো । প্রয়োজনে জীবন দিবন তবু স্পোশাল ইকোনমিক জোনের জন্য চাঁন্দপুর চা বাগানের ফাঁড়ি বেগমগঞ্জ চা বাগানের ৫১১ দশমিক ৮৩ একর জমি কেড়ে নিতে দেবে না। আগামী বুধবার সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার কর্মসূচী পালন করা হবে বলে সভা থেকে বক্তারা ঘোষণা দেন। বক্তারা আরও বলেন, বেগমগঞ্জ চা বাগান ও আশপাশে প্রচুর পরিমাণে খাস জমি থাকা সত্তেও চা শ্রমিকদের জন্য বরাদ্ধকৃত ৫১১ হেক্টর জমিতে কেন ইকোনমিক জোন করা হচ্ছে।
আন্দোলনকারী চা শ্রমিক সন্তান ছাত্র নেতা মোহন রবিদাস, সজল কৈরী, সুমন কৈরী সুরত, মিখাইল পিরেগু বলেন, চা শ্রমিকরা বরাবরই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে থাকে। আজ নৌকা মার্কার সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার পরও এতদিন ধরে চাঁন্দপুরের বেগমগঞ্জ চা বাগানে হাজার হাজার নারী পুরুষ শ্রমিক ও তাদের সন্তানরা তীব্র শীত উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে তীর ধনুক হাতে নিয়ে প্রতিরোধ আন্দোলন করছে অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বারের মতও চা শ্রমিকদের কথা ভাবেননি। তাই তাদের দাবী প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব সহকারে বিষয়টির প্রতি নজর দিয়ে সরেজমিন তদন্তপূর্ব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে।