বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে না : আশরাফ
ডেস্ক রিপোর্টঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি শুরু থেকেই নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। সেই অনুযায়ী বেগম জিয়া বিদেশ থেকে পাঠ নিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত কথা বলেছেন এবং বুদ্ধিজীবীদের কটাক্ষ করেছেন। এ সবই তার পরিকল্পনারই অংশ। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, ‘অতীত অভিজ্ঞতা থেকে আমার মনে হচ্ছে বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে না। কারণ বিএনপি তাদের অবস্থা বুঝেই নির্বাচনকে বিতর্কিত করছে।’
আসন্ন নির্বাচনকে বিএনপি প্রহসনের নির্বাচন বলায় সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘বিএনপি জিতলেই যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এমন কোনো কথা নেই। আবার আওয়ামী লীগ জিতলেই প্রহসনের নির্বাচন হবে তারও কোনো যুক্তি নেই।’
খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে তিনি অনুরোধ করে বলেন, ‘এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন না, যাতে নির্বাচন বিতর্কিত হয়। নির্বচানের মধ্যে নির্বাচন বয়কট করবেন না। কারণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি খালেদাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আপনারা শেষ ভোট গণনা পর্যন্ত নির্বাচনে থাকেবন এবং জনগণের যে কোনো রায় মেনে নেবেন।’
বিএনপির সেনা মোতায়েনের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে স্থানীয় নির্বাচনে কখনোই সেনা মোতায়েন হয়নি। আমাদের মনে আছে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন বলেছিলেন, সেনা মোতায়েন না করলে তিনি পদত্যাগ করবেন। পরবর্তীতে সেনা মোতায়েন ছাড়াই নির্বাচন হলো এবং তার ফল নিয়ে কেউ বিতর্ক করলো না। তাতেই প্রমাণ হয় সেনা মোতায়ের ছাড়াও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।’
সৈয়দ আশরাফ আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবে।’
এদিকে সোমবার বিকেলে গুলশানে নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি শেষ পর্যন্ত আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় পৌর নির্বাচনে থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। যদিও তিনি অভিযোগ করেছেন, শাসক দল নির্বাচনের উপর অশুভ প্রভাব বিস্তারের পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু জনতার ঐক্যবদ্ধ শক্তি যেকোন স্বৈরশাসকের অসৎ উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। তাই আমরাও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী যুদ্ধে অবিচল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।