বিশ্বনাথে সন্ত্রাসী-খুনি দেলোয়ারের শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠছেন এলাকাবাসি

27.12.15=1বিশ্বনাথ প্রতিনিধি: বিশ্বনাথে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ-খুনি-ছিনতাইকারী দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে গতকাল রবিবার দুপুরে উপজেলার বৈরাগীবাজার পরিচালনা ও বণিক সমিতি এবং এলাকাবাসীর সম্বনয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। স্বারকলিপিটি গ্রহন করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন।
স্বারকলিপিতে প্রকাশঃ উপজেলার রহমাননগর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৫)। একজন মাস্তান, ছিনতাইকারী, ডাকাত, সন্ত্রাসী ও খুনি প্রকৃতির লোক। সে স্থানীয় রহমাননগর গ্রামের পশ্চিমে সিংগেকাছবাজার রোডে বাল্লারপাড় নামক স্থানে একাধিক ছিনতাই ও ডাকাতি সংগঠিত করে। এ বিষয়ে তার ওপর বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়ভাবে বিচার হয়েছে। দেলোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে রয়েছে থানায় মামলা। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করেন না। সে সর্বদা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করে। গাড়ি ছিনতাইসহ ডাকাতি,নারী নির্যাতন,সন্ত্রাসী ও খুনের অভিযোগ তার নামে বিভিন্ন থানায় অনেক মামলা রয়েছে। কয়েকটি মামলায় সে কারাবরণ করেছে। বর্তমানে কিছু মামলায় জামিনে ও কিছু মামলায় পলাতক আছে।
এই অবস্থায় অভিযুক্ত হিসাবে একটি গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে বাদি ফাহিম আহমদ, আসামি দিলোয়ার হোসেন, সভাপতি আরিজ আলী (অভিযোগ দশ লক্ষা টাকার) বিশিষ্ট মুরব্বীদের সঙ্গে বিচারক হিসেবে উপজেলা পরিচিত শালিস ব্যক্তিত্ব শফিকুর রহমান বাবুল উপস্থিত থাকার কারণে আসামি দিলোয়ার তাকে খুনের হুমকি দেয়। গত ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বৈরাগীবাজার একলিমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শফিকুর রহমান বাবুল নিজস্ব গাড়িতে উঠার সময় পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা কুখ্যাত দেলোয়ার পিছন থেকে হঠাৎ করে তার ওপর রামদা দিয়ে আক্রমন করে। এসময় শফিকুর রহমার বাবুলের সঙ্গে থাকা হাবিবুর রহমান জোরে চিৎকার দিলে তিনি মাথা কাত করে আতœরক্ষার চেষ্টা করেন। এতে প্রথম আঘাতটি তার মাথায় না লেগে পিঠে আঘাত প্রাপ্ত হন। দ্বিতীয় বার আঘাত প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে তার ডান হাতের কুনুইর ওপরে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত জখম হন। শফিকুর রহমার বাবুলকে হত্যার উদ্যোশে দেলোয়ার রামদা দিয়ে আক্রমন করে। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেনের রামদার আঘাতে শফিকুর রহামন বাবুল মারাতœক আহত হলে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট শহরে নিয়ে যায় হয়।
এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেনের হাত থেকে বৈরাগীবাজার এলাকাবাসী বাঁচতে চাই। তাকে অবিলম্ভে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। অন্যতায় এলাকাবাসি এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে। স্বারকলিপিতে আরও উল্লেখ্য রয়েছে, সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেনের ওপর দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা রয়েছে। যার নং ২৪ (তাং ২৪.১২.২০০৬ইং), বিশ্বনাথ থানায় জিআর, মামলা নং ৩৮/১৩, শাহপরান থানায় মামলা নং ২ (তাং ০১.০১.১৫ইং). একই থানায় মামলা নং ৩ (তাং ০১.০১.১৫ইং)।
স্বারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার খান, বৈরাগীবাজার বনিক সমিতির সভাপতি তেরাব আলী, সাধারণ সম্পাদক আবদুশ শহিদ, এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী একে এম হেকিমউদ্দিন, কাওছার আহমদ তুলাই, ফয়জুন নূর, আরব খান, ছাহেদ আলম, আবদুল মন্নান, মদরিছ আলী, জয়নুদ্দিন, চমক আলী, আবদুল করিম, রাজু মিয়া, আবদুস সালাম, মুজিবুর রহমান, আবুল মিয়া, ইমামউদ্দিন, দিলসাদ, ফাহিম, দোলন, লিকসন, রুহেল, রফিজ, আমিরুল, নুর ইসলাম প্রমুখ। এব্যাপারে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। স্বারকলিপি পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন।