খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের কুৎসা রটানোর মামলা
ডেস্ক রিপোর্টঃ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের কুৎসা রটানোর মামলা করা হয়েছে। রোববার সকালে মেট্রোপলিটন আদালতে (সিএমএম) বিচারক আতিকুর রহমানের আদালতে এই মামলাটি দায়ের বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের অ্যাড. মশিউর মালেক। বিচারক বাদীর জবানবন্দী শুনে অভিযোগ পর্যালোচনায় পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তার এ অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আজকে বলা হয় এত লাখ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
তিনি বক্তব্যে আরো বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হত না।’
যা পরদিন বিভিন্ন পত্রপ্রত্রিকায় প্রচার হয়। আসামির এ ধরনের বক্তব্য শহীদদের অবমানসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সৃষ্টি ও এর ইতিহাসের বিরুদ্ধে নিন্দাবাদ, ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের অপরাধের শামিল। এ ধরনের বক্তব্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তাই রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দণ্ডবিধি ১২৩(ক) ধারায় মামলার আবেদন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন মশিউর মালেক।
এর আগে একই কারণে গত ২৩ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবী অ্যাডভোকেট মমতাজউদ্দিন আহমেদ মেহেদি রেজিস্ট্রি ডাকযোগে উকিল নোটিশ পাঠান।
এছাড়া পরের দিন ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল নাড়িয়াগাতী থানার চাঁপাইল গ্রামের মো. ইউসুফ ফারুকীর ছেলে মো. রায়হান ফারুকী (ইমাম) সদর আমলি আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে জুডিশিয়াল তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক মো. জাকারিয়া। ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখ এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।