৫ দিন আটকে রেখে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ,হাসপাতালে ভর্তি
ডেস্ক রিপোর্টঃ গাজীপুরের এক স্কুল ছাত্রী অপহরণের ৫ দিন পর উদ্ধার হয়েছে। অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণ ও মানষিক নির্যাতনের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে গাজীপুরের শহীদ তাজ উদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অপহরণের পর থেকে অপহরণকারী চক্রের নানা হুমকিকে আতঙ্কিত হয়ে আছেন নিরীহ ভিকটিমের পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে। তবে মূল অপহরণকারী বরমীতে ভাড়ায় বসবাসকারী শ্রীপুরের গোসিঙ্গা ইউনিয়নের পেলাইদ গ্রামের বখাটে সজীব ও তার সঙ্গীরা এখনো কেউ আটক হয়নি।
ভিকটিমের স্বজনরা জানায়, শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে বখাটে সজীব দীর্ঘ দিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিলো। গত ১৭ই ডিসেম্বর সকাল পৌনে ৭টায় সে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে উৎপেতে থাকা বখাটে সজীবের নেতৃত্বে বখাটেরা বরমী থেকে ওড়না দিয়ে মুখ পেঁচিয়ে জোরপূর্বক সিএন্ডজি অটো রিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। মেয়েকে উদ্ধারের জন্য তার মা মোমেনা খাতুন বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। গত সোমবার থানা পুুলিশ ভিকটিমকে শ্রীপুর থানার পাশের রাস্তা থেকে উদ্ধার করেন। মঙ্গলবার থানা পুলিশ তার শারীরিক পরীক্ষার পর আদালতে পাঠায়। আদালতের বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে পুলিশ হেফাজতে তাকে ভর্তি করা হয় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ভিকটিম ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। ভিকটিমের অভিবাবকদের অভিযোগ, এখন লম্পট সজীবগং মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য নানা ধরণের হুমকি দিচ্ছে। এ কারনে তারা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। তারা এ ঘটনার বিচার দাবি করছেন। আর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আব্দুস সালাম জানিয়েছেন ভিকটিমের পরীক্ষা করে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।