মির্জাপুরে হঠাৎ ফাটল উৎসুক জনতার ভিড়

land quakeসুরমা টাইমস ডেস্কঃ মির্জাপুর উপজেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ী অঞ্চল তেলিনা গ্রামে আনুমানিক প্রায় ৪শ গজ এলাকা জুড়ে হটাৎ ফাটল দেখা দিয়েছে। কৌতূহলী মানুষ এ ফাঁটল দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিশুদের ফাটল এলাকায় যাওয়া মৌখিকভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মির্জাপুর উপজেলা সদর থেকে আনুমানিক প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তেলিনা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় ফাটলের দৃম্য। ফাটলটি পূর্বদিকে আনুমানিক প্রায় সাড়ে ৩শ গজ ও উত্তর দিকে ৫০গজ বিস্তৃতি ঘটেছে। এ ছাড়া উত্তর-পূর্বদিকে খোরশেদ মিয়ার ঘর পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করেছে।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকালে বৃষ্টির পর ফাটলের পার্শ্ববর্তী বাড়ির আব্দুল লতিফ এ ফাটল প্রথমে দেখতে পান। পরে তিনি তার স্ত্রী নাসিমা বেগমকে ডেকে তা দেখান। নাসিমা বেগম কৗতূহল বশত ফাঁটলে নামলে তার কোমর পর্যন্ত দেবে যায় বলে তিনি জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি শোঁ শোঁ শব্দও শুনতে পান বলে উল্লেখ করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে ফাটঁল স্থানে গ্রামবাসী ভিড় করতে থাকেন। তেলিনা গ্রামের রফিক উদ্দিন জানান, ওই ফাটল দিয়ে বাশ ঢুকালে বিনা বাধায় ২০/২৫ ফুট পর্যন্ত ঢুকে যাচ্ছে। তেলিনা গ্রামের প্রবীন ব্যক্তি আব্দুর রহিম মিয়া জানান এ স্থানটির মাটি শত বছরের পুরাতন। ফাটল দিয়ে টর্চের আলো প্রবেশ করালে ২৫/৩০ফুট পর্যন্ত দেখা যায়। এলাকার মেম্বার রাজ্জাক মিয়া জানান এ ধরনের ঘটনা তিনি কখনো দেখেননি। একই কথা জানান খোরশের আলমের স্ত্রী রহিমা আক্তার। তবে গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য আব্দুল মালেক আকন্দ বলেন, হয়তো মাটির নিচে গ্যাস আছে। সেই গ্যাসের চাপের কারণে এ স্থানে ফাঁটল ধরতে পারে বলে তিনি ধারনা করেন।
এ ঘটনা জানতে পেরে মির্জাপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ সেলিম রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং শিশু কিশোরদের এ ফাঁটল স্থানে এেিড়য় চলার পরামর্শ দেন। এ ফাটলের ব্যাপারে তার সংঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, গ্রামটির তিনদিকে বিল। ভৌগলিক এলাকা বিবেচনায় নিলে এ এলাকায় প্রাকৃতিক গ্যাস থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই গ্যাসের চাপে হয়তো মাটি ফেটে গেছে বলে তার ধারনা। ঘটনাটি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।