পুলিশের কেরামতিতে ৭ বছরের শিশু এখন ধর্ষণ মামলার আসামি!!
ডেস্ক রিপোর্টঃ পুলিশের কারসাজিতে ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ মামলার আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে গোটা জেলায় আলোচনা সমালোচোনার ঝড় উঠেছে। আইনজ্ঞদের মাঝেও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মোস্তবাপুর গ্রামে ।
সোমবার বাবার কোলে চড়ে আদালতে হাজিরা দিতে আসে সজিব। ঝিনাইদহের অবকাশকালীন দায়রা জজ আদালতের বিচারক সানা মোহাম্মদ মারুফ হোসাইন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবীর উপর দায়িত্ব দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল মোস্তবাপুর গ্রামের ২য় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে একই গ্রামের আজগর আলীর ছেলে ১৪ বছর বয়সী আবু ইউসুফ। ঘটনাটি শিশু সজিব দেখে ফেলে চিৎকার করলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা পরের দিন কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এজাহারে একামাত্র ধর্ষক ইউসুফকে আসামি করা হলেও পরবর্তীতে মামলার চার্জশিটে শিশু সজিবকেও আসামি করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকতা।
এ ব্যাপারে শিশু সজিবের পিতা আব্দুল মালেক বলেন, সেদিন আমার ছেলে সেখানে খেলা করছিল। ঘটনাটি দেখেছিল তাই সে আসামি হয়েছে। আমার ছেলের বয়স ৭ বছর। সে কোনো অপরাধ করেনি। আদালতের কাছে আমি সুষ্ঠু বিচার চাই। আদালতে কেন এসেছো এমন প্রশ্নের জবাবে শিশু সজিব বলে, মামলা হয়েছে তাই এসেছি। কি মামলা সে বলতে পারে না।ঝিনাইদহ জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এড. ইসমাইল হোসেন বলেন, ২২ ধারায় ধর্ষিতা শিশু সজিবের নাম বলেছে। তাই সে আসামি হয়েছে। তিনি জানান, শিশু সজিবের বয়স ১০ বছর বলে পুলিশের রিপোর্টে উল্লেখ থাকলেও বয়স কম হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত ও বর্তমান চুয়াডাঙ্গা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ইউনুস আলী বলেন, এজাহারে আসামি না উল্লেখ করা হলেও ধর্ষিতার জবানবন্দি অনুসারে চার্জশিটে আসামি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শিশু সজিব ধর্ষিতাকে ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে দেয়। এরপর ইউসুফ তাকে ধর্ষণ করেন। তবে মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তার আরো সতর্ক হওয়া উচিৎ ছিল।