সাবেক এমপি শফি চৌধুরী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ও ১০ ইউনিয়ন বিএনপির নিন্দা

সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদের পিতা হাজী আব্দুর রহিম তুরু মিয়ার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ সুরমার টেকনিক্যাল রোডস্থ মদীনা রাইছ মিলে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ও ১০ ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
বুধবার এক যৌথ শোক বিবৃতিতে জেলা বিএনপি নেতা আলী আহমদের পিতার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী শাহাব উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক শামীম আহমদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রহমান ফয়েজ, ১নং মোল্লারগাও ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি আজির উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক আব্দুল লতিফ খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল ইসলাম রুমেল, ২নং বরইকান্দি ইউনিয়ন সভাপতি জাকারিয়া খান, সাধারন সম্পাদক শাহেদুল ইসলাম বাচ্চু ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুহেল আহমদ কালাম, ৩নং তেতলী ইউনিয়ন সভাপতি হাজী সিরাজুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ৪নং কুচাই ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী আহমদ সাজাই, সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ, ৫নং সিলাম ইউনিয়ন সভাপতি আত্তর আলী, সাধারন সম্পাদক নাজমুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল আহমদ, ৬নং লালাবাজার ইউনিয়ন সভাপতি নছির মিয়া, সাধারন সম্পাদক জিলা মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ, ৭নং জালালপুর ইউনিয়ন সভাপতি হাজী তোফাজ্জুল হোসেন, সাধারন সম্পাদক বদরুল ইসলাম জয়দু ও সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল আহমদ, ৮নং মোগলাবাজার ইউনিয়ন সভাপতি নামর আলী, সাধারন সম্পাদক আব্দুল হান্নান ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল ইসলাম, ৯নং দাউদুপর ইউনিয়ন সভাপতি এইচ এম খলিল, সাধারন সম্পাদক শামসুর রহমান শামীম ও সাংগঠনিক সম্পাদক ওলীউর রহমান এবং ১০নং কামালবাজার ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজাদ মিয়া।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দক্ষিণ সুরমার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী জেলা বিএনপি নেতা আলী আহমদের বাবা দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে সুনামের সাথে তাঁর ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু এলাকার দীর্ঘদিনের লালিত সুস্থ ধারার রাজনৈতিক জগতে এই প্রথম একজন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ীর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। যা গোটা উপজেলাবাসীর জন্য দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। আলী আহমদ তাঁর শ্রম, মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তৃনমুল বিএনপিকে একটি শক্তিশালী প্লাটফরমে নিয়ে এসেছেন দেখে কতিপয় সন্ত্রাসীরা প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে এরা এই জনপদের শত্রু। রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা ও মতপার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু প্রতিহিংসা ও সন্ত্রাসের স্থান নেই। ছেলের রাজনৈতিক জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বাবার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা কখনো গ্রহনযোগ্য হতে পারেনা। হাজী আব্দুর রহিম তুরু মিয়া নিজেই তার ব্যাবসা চালিয়ে আসছেন। এমন সজ্জন ব্যাবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রাজনীতিতে এক লজ্জাজনক কালো অধ্যায়ের সুচনা করেছে। অবিলম্বে হামলার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তারা। আর ধ্বংসাত্মক প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চার জন্য সকল দল-মতের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তারা।