তাহলে টুইটার-স্কাইপে-ইমো বন্ধ হয়েছিল কার নির্দেশে?
ডেস্ক রিপোর্টঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, টুইটার, স্কাইপে ও ইমো বন্ধের নির্দেশ তিনি দেননি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, টুইটার, স্কাইপে ও ইমো বন্ধের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেছেন, সামাজিক ও যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের নতুন কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। নির্দেশ আগে থেকেই ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় টুইটার, স্কাইপে ও ইমো এই তিনটি অ্যাপও বন্ধ করা হয়।
ফলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে,স্বাধীন সার্বভৌম দেশে তাহলে হঠাৎ করে রবিবার রাতে নতুন করে তিনটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের নির্দেশ দিলো কে?
প্রসঙ্গত, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে গত ১৮ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ভাইবার, হোয়াসটঅ্যাপ, লাইন ও হ্যাং আউট বন্ধের নির্দেশ দেয় সরকার। ২২ দিন বন্ধ রাখার পরে গত ১০ ডিসেম্বর সরকার ফেসবুক খুলে দিলেও বন্ধ রাখে মেসেঞ্জার, ভাইবার, হোয়াসটঅ্যাপ, লাইন ও হ্যাং আউট। ১৩ ডিসেম্বর নতুন করে আরও তিনটি সামাজিক ও যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার, স্কাইপে ও ইমো বন্ধের নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। তবে একদিন পরেই বন্ধ থাকা সব সামাজিক ও যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে সোমবার বিকাল থেকে একে একে সব বন্ধ মাধ্যম খুলতে শুরু করে।
জানতে চাইলে তারানা হালিম বলেন, ‘আমাদের এটাই সিদ্ধান্ত। সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যম এখন থাকবে উন্মুক্ত। আমরা কোনও কিছু বন্ধ রাখতে চাই না।’
এদিকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেছেন, এখন থেকে সামাজিক ও যোগাযোগের কোনও মাধ্যম বন্ধ বা চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বিটিআরসি।
বিটিআরসির চেয়ারম্যানের বক্তব্য থেকেই মূলত স্পষ্ট হয়ে ওঠে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে কোনও মতদ্বৈততা হয়েছিল কোথাও। তবে এখন থেকে এ বিষয়ে (সামাজিক ও যোগাযোগের কোনও মাধ্যম বন্ধ বা চালুর ব্যাপারে) একটি সংস্থা সিদ্ধান্ত নেবে তা চূড়ান্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেল) থেকে অভিযোগ আসে সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যম বন্ধ থাকলে কীভাবে তাতে ব্যবহারকারীরা ঢুকছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা জবাব দেন, লিকেজের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ঢুকছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, তখন লিকেজ বন্ধ করার কথা বলা হলে নতুন তিনটি মাধ্যম- টুইটার, স্কাইপে ও ইমো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখানেই তৈরি হয় জটিলতা। মূলত ভুল বোঝাবুঝি থেকেই এটা হয়েছে বলে সূত্র দাবি করলেও প্রশ্নটা ঠিকই থেকে যায়, তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রন করার চাবি অন্য কারো কাছে ?