চুনারুঘাটে বিকাশ ব্যাবসায়ীর ছিনতাইকৃত টাকা ফেরত দিল ছিনতাইকারী
এম এস জিলানী আখনজী : চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ নিজ বাড়ীর রাস্তা থেকে ব্যবসায়ী সোহেল মিয়ার ঘাড়ে আঘাত করে ব্যাগ সহ ছিনিয়ে নেওয়া এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে ছিনতাইকারী ওয়াহিদ (৩৫) ও তাহির মিয়া (৪০)। জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর রাত দশটার সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ১২টি মোবাইল ও কয়েকটি বান্ডেল বাধা এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরছিলেন চুনারুঘাট উপজেলার আমুরোড বাজারের বিকাশ-লোড ও পোল্ট্রি ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া। ফেরার পথে চুনারুঘাট বাল্লা সড়ক থেকে নেমে গঙ্গানগর গ্রামস্থ তাদের পারিবারিক রাস্তায় প্রবেশ পথে অতিরিক্ত কুয়াশাছন্নতার সুযোগ নিয়ে আম গাছের আড়ালে দাড়িয়ে থাকা ছিনতাই কারী কুমিল্লা জেলার কামাল মিয়া (৩৫) ব্যবসায়ী সোহেলের ঘাড়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে অপর দুই ছিনতাই কারী উপজেলার অল অলিয়া গাজীপুর গ্রামের তাহির মিয়া (৪০) ও কুমিল্লার অজ্ঞাত মূখে ও দুই হাতে চেপে ধরে তার হাতের ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায়। সোহেলরে চিৎকার শুনে তার আত্মীয় স্বজন ও গ্রাম বাসীরা ছুটে আসেন। একদিকে অতিঘন কুয়াশা অপরদিকে দুপাশে বিশাল এলাকা জুরে ধাঁন ক্ষেতের মাঠ। তাই সহজেই আত্ম গোপন করতে সমর্থ হয় ছিনতাইকারীরা। শত শত গ্রাম বাসীর খোজাঁখোজির পর রাত সাড়ে ১২টায় গোছাপাড়া গ্রামস্থ একটি ধানক্ষেতে ব্যাগে থাকা মোবাইলের রিংটোন শুনে কাছে এগিয়ে গেলে কয়েকটি টাকার বান্ডিল ব্যতিত সবকটি মোবাইল ও রিচার্জ কার্ডসহ ব্যাগটি পাওয়া যায়। ছিনতাইকারীরা গোছাপাড়া গ্রামের সন্ধেহ করে রাতভর ঐ গ্রামের সন্ধে ভাজনদের নজরদারী করা হয়। অপরদিকে একই ইউনিয়নের বনঘাও গ্রামের রশ্বিদ মিয়ার পুত্র ও সি.এন-জি চালক ওয়াহিদ মিয়া (৩২) কে যাত্রীবিহীন সি.এন-জি নিয়ে বাল্লা সড়কের এক কিলোমিটারের মধ্যে ঘারাঘুরি করতে দেখা যায়। গঙ্গানগর গ্রামের দুই যুবক তার দাড়িয়ে থাকা সি.এন-জি তে বসতে চাইলে সে বাধা দেয়। এবং বরাবরই জনশূন্য রাস্তায় অবস্থান নিয়ে গাড়ী দাড় করায়। যে কারনে এলাকার অনেকেরই সন্ধেহে পতিত হয়। ড্রাইভার ওয়াহিদকে সন্ধেহের ব্যাপারটি সাবেক চেয়ারম্যান আ: লতিফকে জানালে পরদিন সকালে তিনি ওয়াহিদকে তাঁর আমুরোড বাজারের বসায় ডেকে নিয়ে আসেন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ওয়াহিদ উপস্থিত জনতার সামনে উক্ত ছিনতাইয়ের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। তার দেয়া তত্বমতে মীরপুর যমুনা ব্রিক্সে কর্মরত ওয়াহিদের ভগ্নিপতি তাহির মিয়ার কাছে যান গঙ্গানগরের ওয়ার্ড মেম্বার দুলাল ভূইয়া ও আওয়ামীলীগের নেতা সাংবাদিক আক্তারুজ্জান। সেখান থেকে তাহিরকে আমুরোডে নিয়ে আসার পর সেও ঘটনার সঙ্গে জড়ীত থাকার কথা স্বীকার করে। অপর দুই জরিতের বাড়ী কুমিল্লা জেলায় বলে জানায় ওয়াহিদ ও তাহির। একজনের নাম কামাল বলে জানলেও অপর জনের নাম তারা অজ্ঞাত জানায়। উপস্থিত জনতার সামনে তাদের কৃতকর্মের ভূল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে ওয়াহিদ ও তাহির। এবং ওয়াহিদের বাবা রশ্বিদ মিয়া (৫৮) ব্যবসায়ী সোহেলের ছিনতাই করা টাকা ফেরত দিবেন বলে অঙ্গিকার করেন।