চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি নিয়ে মাঠে নামছে সাধারণ ছাত্ররা

মুনশি আলিম: জনপ্রশাসনে কর্মরত মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারী কর্মকর্তাদের অবসরের বয়স ৬৫ বছর করার জন্য উচ্চ আদালত রায় দিয়েছে। ইতোমধ্যে এ রায় বাস্তবায়নের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারী কর্মকর্তাদের অবসরের বয়স বাড়ানো পাশাপাশি সমন্বয় করার জন্য সাধারণ সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরের বয়সও বাড়ানো হবে। ইতঃপূর্বে সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরের বয়স বাড়ানো হলেও সেই অনুপাতে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি। এতে করে মেধা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বিজ্ঞপ্তি না থাকার দরুন অনেকে সরকারি চাকরির সুযোগ পাননি।

এবারও যদি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা না বাড়িয়ে শুধুমাত্র অবসরের বয়স বাড়ানো হয় তবে বিপুল সংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থি সরকারি চাকরির মাধ্যমে দেশ সেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। এই আশংকা থেকে সাধারণ শিক্ষার্থি অবসরের বয়স বাড়ানোর সাথে সাথে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমাও বাড়িয়ে ৩৫ বছরে উন্নীত করার দাবি নিয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের ব্যানারে দেশব্যাপী কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার দাস জানান যে, আগামী ১২ ডিসেম্বর ’১৫ মাননীয় অর্থমন্ত্রীর নিজ জেলা সিলেটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করার জন্য কর্মসূচী পালন শুরু হবে। এরপর দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে কর্মসূচি পালনের পর ঢাকায় বড় ধরনের কর্মসূচি আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।

কর্মসূচি সফল করতে তিনি ভুক্তভোগী ও সচেতন অভিভাবকদের সহায়তা কামনা করেছেন। উল্লেখ্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি ৯ম জাতীয় সংসদের স্পীকার থাকাকালীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার উদাহরণ দিয়ে আমাদের দেশেও তা ৩৫ বছরে উন্নীত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জাতীয় সংসদে প্রস্তাব দেন। ৯ম জাতীয় সংসদের জনপ্রশাসন সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছরে উন্নীত করার সুপারিশও করেছিলেন। যথেষ্ট যুক্তিসহ বিভিন্ন সময়ে সংসদ সদস্যগণ ও বর্তমান বিরোধী দলীয় নেত্রী এ বিষয়ে সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন করলেও তা বাস্তায়িত না হওয়ায় সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে একধরনের অসন্তোষ ও হতাশা বিরাজ করছে।

সিলেট বিভাগের কর্মসূচি: আগামী ১২ ডিসেম্বর রোজ শনিবার সকাল ১১ ঘটিকায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। এতে উপস্থিত থাকবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এমসি কলেজ, মদনমোহন কলেজ, লিডিং ইউনিভার্সিটি, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ও ইন্টার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থিবৃন্দ। কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। উল্লিখিত কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য, বিভাগীয় প্রধান বাংলা ও বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সহযোগী অধ্যাপক ড. শিরিন শারমিন, বাংলা বিভাগ। আরো উপস্থিত থাকবেন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।