নিউইয়র্কে পাকিস্তানী কন্স্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ : জাতিসংঘ থেকে পাকিস্তানকে বহিষ্কারের দাবি
নিউইয়র্ক থেকে এনা: সন্ত্রাসের জন্মভূমি ও ব্যর্থ রাষ্ট্র পাকিস্তানকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রগতিশীল আমেরিকান বাংলাদেশীরা। একাত্তরের গণহত্যাকে অস্বীকার এবং বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং রাজনৈতিকদের সাফাই গাওয়ার প্রতিবাদের গত ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ( নিউইয়র্ক সময়) দুপুরে এ্যালায়েন্স বাংলদেশী আমেরিকানরাদের পক্ষে ম্যানহাটানের ফিফথ এভিনিউতে পাকিস্তানী কন্স্যুলেটের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই আহ্ববান জানানো হয়। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে যুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানকে বাংলাদেশের পাওনা সম্পদ এবং একই সাথে নিউইয়র্কের পাকিস্তান কন্স্যুলেট ভবনের ষাট শতাংশ মালিকানা বাংলাদেশকে দেবার দাবি জানানো হয়। সর্বস্তরের বাংলাদেশী আমেরিকানদের অংশ গ্রহনে সমাবেশ থেকে ‘ডাউন ডাউন পাকিস্তান’, পাকিস্তান পাকিস্তান টেরোরিস্ট টেরোরিস্ট ও পাকিস্তানী টোরোরিজম ডোন্ট সাপোর্ট’ শ্লোগানে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুন:বিবেচনার আহ্বান জানান বাংলাদেশ সরকারের কাছে। একুশে পদকজয়ী নাট্যব্যক্তিত্ব জামালউদ্দিন হোসেন সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসাবে পাকিস্তানকে জাতিসংঘ থেকে বহিস্কারের উদ্যোগ নেবার আহ্বান জানান। সমাবেশ আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা সাবেক ছাত্রনেতা ড. প্রদীপ রঞ্জন কর একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে
অভিযুক্ত ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধারাধের মামলা করে তাদের বিচারের দাবি জানান। সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোট নিউইয়র্কের সভাপতি মিথুন আহমেদ পাকিস্তানের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্পদ আদায়ের উদ্যোগ নেবার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানান।
সমাবেশে আরো যোগ দেন বর্ষিয়ান সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদউল্ল্যাহ, কলামনিস্ট বেলাল বেগ, আওয়ামী লীগ নেত্রী আইরিন পারভিন, শাহানারা রহমান, অধ্যাপিকা মমতাজ, মোর্শেদা জামান, নুরুন্নাহার গিনি। সাংষ্কৃতিককর্মী জলি কর, যুবনেতা তরিকুল হায়দার চৌধুরী, আব্দুল হামিদ আক্তার হোসেন, তৈয়বুর রহমান ট,ি রমেশ নাথ, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, আলী আহসান কিবরিয়া অনু, মুজাহিদ আনসারী, শাখাওয়াত বিশ্বাস, মমতাজ শাহনাজ, মোর্শেদা জামান, শাহাদত হোসেন, আব্দুল বাসির খান, আশফাক মাসুদ প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে তারা পাকিস্তানবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানীদের নরহত্যার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এলায়েন্স বাংলাদেশী আমেরিকানদের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফের উদ্দেশ্যে একটি স্মারকলিপি প্রদানের চেষ্টা করা হলেও পাকিস্তানী কন্স্যুলেটের পক্ষ থেকে তা গ্রহণ করা হয়নি।