মেধাহীনতার জন্য দায়ী মাত্রাতিরিক্ত ফেইসবুক ব্যবহার

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: বিশ্বের জনপ্রিয় একটি যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে ফেইসবুক।বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। বন্ধু তৈরি, প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানো, কেনাকাটা, বিজ্ঞাপন, ব্যবসা সব কিছুর নির্ভরতা ফেসবুকের উপর। বিখ্যাত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের আশ্রয় এখানে। সাধারণ মানুষের সাথে দুরত্ব কমিয়ে নেয়ার বড় সুযোগ ফেসবুক পেইজ গুলো।ফেইসবুক ২০০৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।২০০৫ সালের ৮ জুন বাংলাদেশে প্রথম আসে।

ফেইসবুক কতৃপক্ষের হিসাব বাংলাদেশে ফেইসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি দুই লাখ।এর মধ্যে ৮২ লাখ পুরুষ ২২ লাখ পুরুষ।ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিশাল অংশ তরুন যাদের বয়স ১৮-২৪ বছর। আর তাদের বেশির ভাগই ব্যবহারকারী শিক্ষার্থী।বাংলাদেশের প্রথম থেকেই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফেইসবুক কে দখল করে নেয়।অতপর ধীরেধীরে সবার মাঝে চলে আসে এই যোগাযোগ মাধ্যমটি।

আর এই জনপ্রিয় মাধ্যমটি মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীরা লেখাপাড়ায় আগেরমতো মনোনিবেশ করতে পারছে না। পড়ার চেয়ে ফেসবুকে বেশি মনোনিবেশ হওয়ার ফলে স্কুল পরীক্ষা, ভর্তি পরীক্ষাসহ নানা পরীক্ষায় তারা খারাপ করছে।

ছাত্র কাওছার আহমদ নামের একজন জানায়, আমি আগে লেখা পড়ায় অনেক সময় দিতাম,কিন্তু যখন থেকে ফেইসবুক ব্যবহার শুরু করলাম তখন থেকেই লেখাপড়ায় সময় দেয়া কমে গেল,আমি বেশি ফেইসবুকে সময় দিতে শুরু করে।এতে আমি কয়েকটা পরীক্ষায় খারাপ করি।

ছাত্র আশরাফুল ইসলাম সুমন বলে,আমি ফেইসবুক ব্যবহার করে অনেক তথ্য পাই, তবে আমি আগে অবসর সময় বই পড়তাম কিন্তু এখন অবসর সময় ফেইসবুক ব্যবহার করি।

আব্দুল ওয়াদুত বলেন,আমরা যখন ছাত্র ছিলাম অনেক রাত জেগে লেখাপড়া করতাম,কিন্তু এখনকার ছাত্ররা রাত জেগে ফেইসবুক চালায়।গভীর রাতে বেশিরভাগই তরুণ ছাত্রদের ফেইসবুকে দেখা যায়।এতে অনেক মেধাবী ছাত্র মেধাশূন্য হয়ে যাচ্ছে।