সিলেটে দুই অপহরণকারী এক দিনের রিমান্ডে

Police Remandডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেট নগরীর তালতলায় এক ব্যাবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়কালে সাদা পোশাকধারী পুলিশ ও জনতার কাছে হাতেনাতে আটক দুই অপহরণকারীর এক দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত । গতকাল সোমবার সকাল ১০ টায় সিলেট মহানগর ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতের বিচারক মো.সাহেদুল করিম এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন । রিমান্ড প্রাপ্তরা হলো , এসএমপি’র কোতয়ালী থানার শেখঘাট খুলিয়াটুলা নিলীমা ৬৩ নং বাসার মৃত আঃ সামাদের ছেলে শাকিল আহমেদ (৩৭) ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার সিলাম নোয়াপাড়া গ্রামের গোলাব আলীর ছেলে সোরাব আলী (২৮) । এর পূর্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসএমপি’র কোতয়ালী থানার এসআই অসিত চন্দ্র দাশ আসামীদের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেন ।
আদালত সূত্রে জানাযায়,গত ৩ ডিসেম্বর সিলেট জেলার ওসমানীনগর থানার উসমানপুর গ্রামের মৃত মনির উদ্দিন আহমেদের ছেলে আকিলুর রহমান চান্দ আলী ভুমি সংক্রান্ত কাজে সিলেটের রেজ্রিষ্ট্রি অফিসে আসেন । তার কাজ শেষ করে বিকাল অনুমাণ চার টায় সঙ্গিয় আব্দুল্লাহ সহ জামতলা যাওয়ার পথে তালতলাস্থ গণি ম্যানশনের সামনে পৌছামাত্র তার পূর্ব পরিচিত ওসমানীনগর থানার রবিদাস গ্রামের আলী হাযদারের ছেলে আবুল বাশার তুহিন সহ আরো কয়েকজন গতিরোধ করে অপহরণ করে গণি ম্যানশনের গলির ভিতর নিয়া পরিত্যাক্ত একটি ঘরে হাত-পা মুখ বেধে আটক করে রাখে ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়া প্রাণে হত্যার ভয় দেখাইয়া নগদ টাকা মোবাইল ফোন চিনাইয়া নেয় । এ সময় চান্দ আলীর শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও বাংলাদেশ ব্যংাকের ডিউটিতে থাকা সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা গিয়ে শাকিল ও সোরাবকে আটক করেন পুলিশকে খবর দেন, খবর পেয়ে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায় । এ ব্যাপরে আকিলুর রহমান চান্দ আলী বাদি হয়ে কোতয়ালী থানার অপহরণ,চুরি ,হুমকির অভিযোগ এনে ৩ জনের নামোল্লেখ করে মামলা নম্বর ০৬(১২)১৫ ইং দাখিল করেন । এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অসিত চন্দ্র দাশ শাকিল ও সোরাবের পাচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেন ।
এ ব্যাপরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসএমপি’র কোতয়ালী থানার এসআই অসিত চন্দ্র দাশ জানান, সাদা পোষাকধারী পুলিশ ও জনতার সহায়তায় আটক দুই অপহরণকারী শাকিল ও সোরাবের অন্যান্য সহযোগি ও পলাতকদের নাম ঠিকানা উদ্ধারের লক্ষ্যে পাচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ।