চৌহাট্টায় মাইক্রো স্ট্যান্ড নিয়ে পুলিশ-শ্রমিক মুখোমুখি, সাংবাদিক লাঞ্ছিত
ডেস্ক রিপোর্টঃ নগরীর চৌহাট্টা-রিকাবীবাজার ভিআইপি সড়কে অবৈধ মাইক্রো বাস স্ট্যান্ড উচ্ছেদ অভিযান কেন্দ্র করে শ্রমিক-পুলিশ মুখোমুখি অবস্থানের পর অবশেষে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে মহানগর ট্রাফিক পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে অবৈধ মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলে শ্রমিক ও মালিকরা জড়ো হয়ে বাঁধ সাধেন। এ সময় অভিযানের ছবি তুলতে গেলে পরিবহন শ্রমিকদের কাছে লাঞ্ছিত হন ফটো সাংবাদিক শেখ আশরাফুল আলম নাসির
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অভিযান আরো জোরদার করতে এক প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অন্য দিকে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবৈধ মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে জড়ো হতে থাকেন পরিবহন শ্রমিকরা।
পুলিশ-শ্রমিক মুখোমুখি অবস্থানে থাকলেও উভয় পক্ষের মধ্যে দুই দফা সমঝোতা বৈঠকের পর আগামী পনের দিনের মধ্যে সড়কের উপর থেকে স্ট্যান্ড সরিয়ে নিতে সময় সীমা বেধে দেয় ট্রাফিক পুলিশ। এবং প্রশাসনের নির্দেশে পরিবহন শ্রমিকরা তাত্ক্ষনিকভাবে কিছু গাড়ি সরিয়ে নিলেও উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখা হয়।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) মোঃ রহমতুল্লাহ জানান, কোন ধরনের সংঘর্ষ ছাড়াই তারা রাস্তার উপর থেকে তারা গাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন। আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভিআইপি সড়ক থেকে অবৈধ স্ট্যান্ড সরিয়ে না নিলে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ এই স্ট্যান্ড সরানোর জন্য অনুরোধ করলেও শ্রমিক নেতারা তা মানছেন না। পনেরো দিনের মধ্যে স্ট্যান্ড সরিয়ে না নিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শেখ আশরাফুল আলম নাসির বলেন, স্ট্যান্ড উচ্ছেদ অভিযানের ছবি তুলতে গেলে কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক তেড়ে আসে। অকথ্য গালিগালাজ করে ছবি তুলতে বাধা দেয় শ্রমিকরা। এমনকি ছবি তুললে তাদের পেটানোর হুমকিও দেয় শ্রমিকরা। পরে নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি মিমাংসা করেন। তবে এনিয়ে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ মিডিয়ার সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, সিলেট নগরীর চৌহাট্টা ছাড়াও রিকাবীবাজার, সুবিদবাজার, ধোপাদিঘীরপাড়, শিবগঞ্জ, সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবৈধ মাইক্রবাস স্ট্যান্ড পরিচালনা করে আসছেন প্রভাবশালী শ্রমিক নেতারা। যার ফলে নগরীর যানজট পরিস্থিতি কমানো যাচ্ছেনা বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা।