শিশু সাঈদ হত্যা: পুলিশ ও ওলামালীগ নেতাসহ তিনজনের ফাঁসি, একজন খালাস
ডেস্ক রিপোর্টঃ স্কুল ছাত্র শিশু আবু সাঈদের হত্যা মামলায় নগরীর বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুল, র্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিবের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছেন আদালত। অপর আসামী ওলামা লীগের প্রচার সম্পাদক মাহিব হোসেন মাসুমকে বেখসুর খালাস দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত তিন আসামীকে ২ লক্ষ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। অবসরে যাওয়ার আগে বিচারক আব্দুর রশিদের দেয়া শেষ কোন রায় ছিল এটি।

গত ১৭ নভেম্বর সাঈদ অপহরণ ও হত্যা মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেন।
অভিযুক্ত ৪ জন হচ্ছেন নগরীর বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুল, র্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মাহিব হোসেন মাসুম। এরা সবাই বর্তমানে কারান্তরীণ রয়েছেন। চলতি বছরের ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীর রায়নগর থেকে স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে (৯) অপহরণ করা হয়।
এরপর ১৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় বিমানবন্দর থানার পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের কুমারপাড়াস্থ ঝর্ণারপাড় সবুজ-৩৭ নং বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।