জামিন পেলেন খালেদা, চার্জ শুনানি ২৮ ডিসেম্বর

Khaleda Ziaডেস্ক রিপোর্টঃ নাইকো দুর্নীতি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন।সেই সঙ্গে আগামী ২৮ ডিসেম্বর দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।এ সময় পুরো আদালত চত্বরে বিএনপিপন্থি আইনজীবীতে পরিপূর্ণ ছিল।বেলা সাড়ে ১২টার দিকে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর আদালত চত্বর ত্যাগ করেন।

সোমবার দুপুর ১২.১০ টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ-৯ আমিরুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এরপর খালেদার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয় এবং শুনানি শেষে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।খালেদা পক্ষে আদালতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে একঝাঁক তুরুণ আইনজীবী।

পরে আদালত চত্বরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।তিনি বলেন, আদালত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৮ ডিসেম্বর মামলার চার্জ শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন।

এর আগে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বেলা সোয়া ১১টার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা হয় বিএনপি চেয়ারপারসন।

এদিকে খালেদার আত্মসমর্পণ উপলক্ষে পুরো আদালত চত্বরে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। র‌্যাব ও পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রচুর সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। আছেন সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরাও। তারা তল্লাশি ছাড়া কাউকে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না। এছাড়া খালেদার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী সিএসএফ সদস্যরাও আছেন।

গত ১৮ জুন খালেদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম বিচারিক আদালতে চলবে বলে রায় দেন বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

মামলাটি বাতিলে খালেদার রিট আবেদন ও এ সংক্রান্ত রুল খারিজ এবং বিচারিক কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে দুই মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

তবে তার জামিনের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে নিম্ন আদালতকে বলেছেন উচ্চ আদালত।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটির তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

খালেদা ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন- চারদলীয় জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। চলতি বছর ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিচার্জ করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।