হিজাব পরার অধিকার চেয়ে মামলা খারিজ
ডেস্ক রিপোর্টঃ হিজাব পরে কাজ করার অধিকার চেয়ে ফ্রান্সের এক সমাজকর্মীর মামলা ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত খারিজ করে দিয়েছে। হাসপাতালে কাজের সময় হিজাব খুলে রাখতে রাজী না হওয়ায় ক্রিস্টিন ইব্রাহিমিয়ানকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। তারপরই মুসলিম ঐ মহিলা ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে যান। তবে কোনো দেশের প্রথা নিয়ে কথা বলতে আদালত অস্বীকার করেছে। আদালত তার রায়ে বলেছে, কোনো দেশের প্রথা বা আইনের ওপর কোনো ধরনের রায় দেয়া এই আদালতের দায়িত্ব নয়।
ফরাসি আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো বেশভূষা করতে পারবেন না যার মধ্যে দিয়ে তার ধর্মবিশ্বাস প্রকাশ পায়। ক্রিস্টিয়ান ইব্রাহিমিয়ান যিনি একটি হাসপাতালে কাজ করতেন তিনি কাজের জায়গায় হিজাব পরা বন্ধ করতে অস্বীকার করায় হাসপাতাল তার চাকরির চুক্তি নবায়ন করেনি। প্যারিসের এক হাসপাতালে মনোরোগ বিভাগে তিনি সমাজকর্মী হিসাবে কাজ করতেন।
হাসপাতাল তাকে বলেছিল রোগীরা তার হিজাব পরা নিয়ে অভিযোগ করছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ফরাসি আইন স্মরণ করিয়ে দিয়ে জানিয়েছিল একজন সরকারি কর্মচারী হিসাবে তার কোনোরকম ধর্মবিশ্বাসের প্রতীক বেশভূষায় প্রদর্শন করলে তিনি আইন লঙ্ঘন করবেন। হাসপাতাল জানায়, বার বার বলা স্বত্বেও মিস ইব্রাহিমিয়ান হাসপাতালে কাজের সময় তার হিজাব খুলতে অস্বীকার করেন।
তখন ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে হাসপাতাল তাকে জানিয়ে দেয় হাসপাতাল তার কাজের চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াবে না এবং তিনি চাকরি হারান। গত এক দশকের ওপর মিস ইব্রাহিমিয়ান হাসপাতালের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ফ্রান্সের বিভিন্ন আদালতে মামলা করেন। কিন্তু প্রত্যেকটি আদালত তার আবেদন খারিজ করে দিলে তিনি ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে তার আবেদন পেশ করেন। ইউরোপীয় আদালত বৃহস্পতিবার তাদের রায়ে বলেছে ফ্রান্সে কর্মক্ষেত্রের নিয়মকানুনকে চ্যালেঞ্জ জানানো বা সে সম্পর্কে বিধান দেওয়ার এখতিয়ার তাদের নেই।
হিজাব বা নিকাব পরাকে ফ্রান্সে ধর্মীয় গোঁড়ামির বহি:প্রকাশ হিসাবে গণ্য করা হয়। সূত্র: বিবিসি