সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহারে লুকোচুরি
প্রতিটা স্বপ্ন, অধিকার বাস্তবায়ণের লক্ষে ব্যক্তি জীবন গড়িয়ে সমাজ, রাষ্ট্র তথা রাজনৈতিক ভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলতে হয়। জনসচেতনতার পাশাপাশি ঐ সিদ্ধান্তের প্রতি জনমত তৈরি করা হয়ে উঠে অপরিহার্য।প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক তৃতীয় বিশ্বের কতিপয় ব্যক্তি ও মহল তাদের হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়ণের জন্যে এক এক সময় এক এক নামে অপতৎপরতা, বর্বরতা চালিয়ে নিজেদের শক্তির অবস্থান জানান দিয়ে থাকে। সমসাময়িক প্যারিসে আত্মঘাতী হামলা ও বিভিন্ন রাষ্ট্রে হামলার পরিকল্পনার বার্তা হুমকিস্বরূপ ছুড়ে দিয়েছে আইএস।মানুষ, মানবতাবোধ ধ্বংস করার অপতৎপরতাকারীদের মূল পছন্দ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে বলে যে তান্ডব চালিয়ে জন জীবনে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে; সে দৃশ্য হয়’ত আমরা এখনো ভুলে যাইনি।বাংলাদেশে দুই শীর্ষ মানবতাবিরোধী অপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের বিচার কাজ নিয়ে জাতি অনেক ধরনের অপতৎপরতা প্রত্যক্ষ করেছে। আর তাদের দন্ডিত ফাঁসির রায় কার্যকরের সময় হয়’ত বড় ধরনের নাশকতার হাত থেকে জাতিকে নিরাপদ রাখার জন্য সরকার সামাজিক যোগাযোগ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন।অন্যদিকে প্যারিসের বর্বরতার কারনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বেশ কিছু ওয়েবসাইট বন্ধে ফরাসি সরকারকে অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সংসদ। কিন্তু প্রশ্ন, আমাদের সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতি আমরা কতটুকু আন্তরিক বা শ্রদ্ধাশীল।সরকার সবার সহযোগীতা চাইলেও সরকারের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও মহল সে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতি দেশের বেশীর ভাগ মানুষ সরকারের প্রতি আন্তরিক হলেও কতিপয় ব্যক্তি এমনকি সরকারের কিছু কর্তাব্যক্তিদেরও দেখা গেছে বিকল্প উপায়ে সোস্যাল মিডিয়ায় তাদের পদচারণা।আমাদের সবাইকে আরও সচেতন ও দ্বায়িত্বশীল হতে হবে। দেশ ও জাতির স্বার্থে সরকারের ভালো সিদ্ধান্তের প্রতি আন্তরিক, শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আর সবচেয়ে বড় কথা, সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত সরকারের কর্তাব্যক্তিদের সবার আগে অনুসরণ এবং অনুকরণ করা উচিৎ।যদিও সামাজিক যোগাযোগ বন্ধ করে মূল সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে না। প্রযুক্তি বন্ধ করে সাময়িক সফলতা অর্জিত হলেও দীর্ঘ মেয়াদী সফলতার জন্য প্রযুক্তি দিয়েই তাদের মোকাবেলা করতে হবে। ডিজিট্যাল ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।