আ’লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ পাল্টা-পাল্টি মামলা : উত্তেজনা, ১৪৪ ধারা স্থগিত

indexওসমানীনগর সংবাদদাতা: ওসমানীনগরে শ্রমিক লীগের সম্মেলনে পরিচয় করিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে আ’লীগ ও যুবলীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে থানায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রোববার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলুর ছোট ভাই নাবেদুর রহমান চৌধুরী বাদি হয়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলাতাফুর রহমান সোহেলসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জনকে আসামি রেখে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলা দাযের পর দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন, ইউসুফ চৌধুরী (৩০) ও জসিম মিয়া (২০)।অন্যদিকে, গত রোববার রাতে ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান বাদি হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলুকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫/৩০ জনকে আসামি রেখে পাল্টা মামলা দায়ের করেছেন। তবে এ মামলার কোনো আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।এদিকে,পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়েরের পর এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশের টহল জোরধার রয়েছে। তবে এলাকার সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে ১৪৪ ধারা স্থগিত করেছে উপজেলা প্রশাসন।ওসমানীনগর থানার ওসি মো. মুরসালিন পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এলাকায় পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। একটি মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী মো. শওকত আলী বলেন, থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত থাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে গোয়ালাবাজার এলাকায় জারীকৃত ১৪৪ ধারা স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি অশান্ত দেখা দিলে যেকোন সময় আবারো ১৪৪ ধারা বলবৎ করা হবে।প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে শ্রমিকলীগের সম্মেলন চলাকালিন সময়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুর রহমান সুহেলের পরিচয় করিয়ে না দেয়ায় সম্মেলনের মধ্যে সুহেল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। পরবর্তীতে সুহেল এর সমর্থকরা গোয়ালাবাজারে অবস্থিত নাজলু চৌধুরী’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ব্যাক্তিগত অফিস ও অফিসের সামনে থাকা কয়েকটি মটরসাইকেল ভাংচুর করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ, অতিরিক্ত পুলিশ ও ডিবি পুলিশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে ও উপজেলার গোয়ালা বাজারসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন ইউএনও।