ফের ভূমি খেঁকোদের দখলে চলে যাচ্ছে জল্লারখাল

326ডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেট নগরীর জল্লারখাল আবারো ভূমি খেঁকোদের দখলে চলে যাচ্ছে। প্রশাসনের চোখে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উচ্ছেদকৃত জায়গায় আবারো গড়ে তোলা হচ্ছে স্থাপনা। গত ২৯ অক্টোবর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীবের নেতৃত্বে জল্লারখালে দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে স্থানীয় ভূমি খেকোদেরকে দখলকৃত জায়গা থেকে উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় মিষ্টির দোকানের কারখানা, কলোনী, ব্যাচেলর নিবাস ও আধা পাকা ঘর সমূহ উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদের ২০ দিন যেতেই আবারোও সেখানে অনেকেই অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে ওঠেছে। মানছেন না সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশও। এ ব্যাপারে সিসিক রহস্যজনক কারনে নিরব ভূমিকা পালন করছে।
জানা গেছে, অবৈধভাবে জল্লারখালের জায়গা দখল করে নির্মাণকৃত ব্যাচেলর নিবাসের কয়েকটি রুম ভেঙ্গে দেয় সিটি কর্পোরেশনের উদ্ধারকারী টিম এবং আরো কয়েকটি রুম ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেয়। অভিযান চলাকালে ব্যাচেলর নিবাসের স্বত্বাধিকারী সেতুু মিয়া উপস্থিত ম্যাজিষ্ট্রেটকে ম্যানেজ করার চেষ্ঠা করেন। তাতে ম্যাজিষ্ট্রেট কোন সাড়া না দিয়ে উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। কিছু দিন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত জায়গাটি পরিদর্শন করেন।
উচ্ছেদের ২০ দিন যেতেই আবার সেখানে রুম নির্মাণ শুরু করা হয়েছে। শুধু ব্যাচেলর নিবাসের মালিক নন, অন্যান্য দখলদাররাও একই অবস্থানে রয়েছেন। সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানের সময় থেকে যাওয়া অবশিষ্ট অংশ ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ থাকলেও এখন পর্যন্ত অনেকে দখলকৃত জায়গায় স্থাপনা ভাঙ্গেন নি। সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সুত্রে জানা যায়, এই এলাকায় শেফালী বেগম ও ফারহানা ইয়াসমিন গং পূূর্বে ৬৭ ফুট দৈর্ঘ্যে ও ৬ ফুট প্রস্থে এবং দক্ষিণে ১০৩ ফুট দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ৭ ফুট জায়গা দখল করেছিলেন।
আনোয়ার বকস ১০০ ফুট দৈর্ঘের এবং ১২ ফুট প্রস্থ জায়গা জবর দখল করে রেখেছিলেন। একইভাবে সাবের খান দৈর্ঘ্যে ৩০ ফুট ও প্রস্থে উত্তরে ৩ ফুট-দক্ষিণে ৮ ফুট, ফয়জুল হোসেন মিনা মিয়া দৈর্ঘ্যে ৩৩ ফুট ও প্রস্থে উত্তরে ৮ ফুট-দক্ষিণে ১১ ফুট, তফজ্জুল হোসেন দৈর্ঘ্যে ৩১ ফুট ও প্রস্থে ১১ ফুট, শাফি মিয়া দৈর্ঘে ৭৬ ফুট ও প্রস্থে ১১ ফুট, মীর হোসেন দৈর্ঘ্যে ৫৭ ফুট ও প্রস্থে ১২ফুট, লাল মিয়া দৈর্ঘ্যে ৬২ ফুট ও প্রস্থে ১২ফুট জায়গা জবরদখল করে রেখেছিলেন।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব এই প্রতিবেদককে জানান, আমাদের অগোচরে জল্লারখালে অভিযানের সময় উচ্ছেদকৃত জায়গায় আবারো যদি কেউ স্থপনা গড়ে তুলে তবে সেটা ভেঙ্গে ফেলা হবে। তিনি আরো জানান, উচ্ছেদকৃত জল্লারখালে সিটি কর্পোরেশন স্থাপনা গড়ে তুলবে। এ নিয়ে টেন্ডার দেয়া হয়েছে। টেন্ডার জটিলতার কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। খুব শীঘ্রই আমরা কাজ শুরু করব। এ ব্যাপরে সেতু মিয়ার সাথে ফোনে আলাপ করতে চাইলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।