শিশু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
ডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেটে ৯ বছরের শিশু আবু সাঈদকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় সোমবার আরো ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এ নিয়ে সাঈদ হত্যা মামলায় ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো। এ মামলায় ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে জানা যায়, সোমবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এ নিয়ে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো।
তিনি আরো জানান, আজ আদালতে সাঈদের প্রতিবেশী সেলিম আহমদ, আজির উদ্দিন, আব্দুল কুদ্দুছ, মোক্তাদির আহমদ জুয়েল, দোলোয়ার হোসেন, আব্দুল আহাদ তারেক ও আবুল হোসেন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
গতকাল রবিবার আদালতে সাঈদের মা সালেহা বেগম, মামা জয়নাল আবেদীন, হিলাল আহমদ, বিমানবন্দর থানার ওসি গৌছুল হোসেন, থানার এসআই সাফরাজ মিয়া, আবুল কাশেম সাক্ষ্য দেন। এর আগে গত ১৯ নভেম্বর সাঈদের বাবা ও মামলার বাদী মতিন মিয়া, আশরাফুজ্জামান আজম, ফিরোজ আহমদ, ওলিউর রহমান ও শফিকুল ইসলাম আলকাছ আদালতে সাক্ষ্য দেন।
গত ১৭ নভেম্বর সাঈদ অপহরণ ও হত্যা মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। ওই ৪ জন হচ্ছেন নগরীর বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুল, র্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মাহিব হোসেন মাসুম।
গত ২৯ অক্টোবর সাঈদ অপহরণ ও হত্যা মামলা সিলেট মহানগর হাকিম প্রথম আদালত থেকে সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন ট্র্যাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ১০ নভেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে পলাতক থাকা মাহিব হোসেন মাসুম জামিন আবেদন জানালেও আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এরও আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সিলেট মহানগর হাকিম ১ম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) আবদুল আহাদ চৌধুরী।
চলতি বছরের ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীর রায়নগর থেকে স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে (৯) অপহরণ করা হয়। এরপর ১৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় বিমানবন্দর থানার পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের কুমারপাড়াস্থ ঝর্ণারপাড় সবুজ-৩৭ নং বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর, র্যাবের সোর্স গেদা ও ওলামা লীগ নেতা রাকিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই তিনজনই আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করে।