পৃথিবীর সবচেয়ে দামি পাসপোর্টের তালিকা !!
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ অত্যন্ত জরুরি ও মূল্যবান একটি জিনিস পাসপোর্ট। সব দেশের সকল নাগরিকের কাছে যার যার পাসপোর্ট তার পরিচয়ের আন্তর্জাতিক সনদ বলা যেতে পারে। যদি প্রশ্ন করা হয়, কোন দেশের পাসপোর্ট সবচেয়ে দামি? জবাব নানা দৃষ্টিকোণে একেক রকম হতে পারে।
অনুন্নত দেশের মানুষের কাছে উন্নত দেশের পাসপোর্ট অনেক দামি মনে হয়। আবার উন্নত দেশের কোনো নাগরিকের কাছে মনে হতে পারে, অমুক দেশের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট পেলে মন্দ হতো না। মূলত পাসপোর্ট বানাতে সরকারকে একটা ফি দিতে হয়। এর ভিত্তিতেই এর মূল্য নির্ধারণ করাটাই যুক্তিসঙ্গত।
গো ইউরো’র এক গবেষণায় উঠে এসেছে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি পাসপোর্টের খবর। তাদের মতে, অনেক দেশের তুলনায় স্বপ্নের দেশ আমেরিকার পাসপোর্টের দাম কিন্তু অনেক কম। আবেদনপত্রের জন্যে ১১০ ডলার এবং অ্যাকসেপটেন্স ফি ২৫ ডলার। মোট ১৩৫ ডলারেই মার্কিন পাসপোর্ট মেলে। আমেরিকার ন্যূনতম আয়ের লোকরাও পাসপোর্ট বানানোর সামর্থ্য রাখেন। ১৯ ঘণ্টার শ্রমের বিনিময়ে একটি পাসপোর্ট বানানোর খরচ জোগানো সম্ভব।
এদিকে, তুরস্কে একটি পাসপোর্ট বানানোর পেছনে বেশ বড় বিনিয়োগ করতে হবে। ন্যূনতম আয়ের মানুষরা ৯৫ ঘণ্টা কাজের বিনিময়ে যে অর্থ উপার্জন করবেন তার পুরোটাই যাবে পাসপোর্টের পেছনে। তুরস্কে পাসপোর্টে ফি ২৫১ ডলার। এরাই সবচেয়ে দামি পাসপোর্টের অধিকারী।
দ্বিতীয়তে অবস্থান করছে অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট। সে দেশে পাসপোর্টের ফি ২০৬ ডলার। মেক্সিকোর পাসপোর্টের অদ্ভুত বিষয়টি হলো, এর দাম আমেরিকার পাসপোর্টের চেয়ে ২০ ডলার বেশি। তবে এর অর্থের জোগান দিতে ন্যূনতম আয়ের মানুষদের ২৬৬ ঘণ্টা শ্রম দিতে হবে। পৃথিবীর সবচেয়ে কমদামি পাসপোর্টটি আরব আমিরাতের। খরচ মাত্র ১৪ ডলার।
তৃতীয়তে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। এর পাসপোর্টের পেছনে খরচ পড়ে ১৫৯ ডলার। আমেরিকার সঙ্গেই রয়েছে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইতালি, ১৩৫ ডলার। কানাডায় খরচ পড়ে ১৩৩ ডলার। জাপানি পাসপোর্ট ১১৫ ডলার। একই খরচ নিউজিল্যান্ডের পাসপোর্টে। দামিদের টপ টেন তালিকার শেষে অবস্থান করছে ইউকে। ব্রিটিশদের পাসপোর্ট বানাতে খরচ হয় ১১০ ডলার।
সূত্র : ফোর্বস