‘প্রাণভিক্ষা নিয়ে এখনও কোনো জবাব আসেনি’

8124_1448032071সুরমা টাইমস ডেস্কঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না সে প্রশ্নের কোনো জবাব এখনও পাননি। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, “এখনও আমার কাছে কিছু আসেনি।”

বুধবার রিভিউ খারিজের মধ্য দিয়ে আইনি সব বিষয়ের নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ায় জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির এই দুই নেতার সামনে এখন কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগই বাকি আছে।

এদিকে মুজাহিদ ও সালাউদ্দিনের রিভিউ আবেদন খারিজের রায় বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছানোর পর থেকে সেখানে ভিড় করে আছেন সাংবাদিকরা।

তারা আবেদন না করলে বা রাষ্ট্রপতির অনুকম্পা না পেলে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ, যার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে বলে ডিআইজি প্রিজন গোলাম হায়দার জানিয়েছেন। রাতে রায়ের অনুলিপি কারাগারে পৌঁছানোর পর দুই ফাঁসির আসামিকে তা পড়ে শোনানো হয় বলে কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গোলাম হায়দার সকালে বলেন, “কাল ট্রাইব্যুনাল থেকে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর আমরা তাদের পড়ে শুনিয়েছি। ক্ষমা চাইবেন কি না জানতে চেয়েছি। “উনারা বলেছেন, সিদ্ধান্ত পরে জানাবেন। উনাদের সিদ্ধান্ত জানার জন্য আজও আমরা তাদের কাছে যাব।”

এদিকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করার জন্য দুপুর থেকে কারাফটকের সামনে অবস্থান করছেন তার আইনজীবীদের কয়েকজন।

তার আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম খান আলফেসানী বলেন, প্রাণভিক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানানোয় তারা কারা ফটকে এসেছেন। একাধিকবার তারা সালাউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও কারা কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি। লিখিত আবেদন নিয়ে গেলেও তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

রিভিউ খারিজের পর আর আসামির সঙ্গে আইনজীবীদের সাক্ষাতের সুযোগ নেই বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও তারা কেন এসেছেন জানতে চাইলে হুজ্জাতুল বলেন, “এর আগে কামারুজ্জামানের রিভিউ খারিজের পর প্রাণভিক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্তের আগে তার সঙ্গে আইনজীবীদের দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তাই আমরা এসেছি।”

রিভিউর রায় হওয়ার পর বুধবার থেকেই কারাফটকে জোরদার নিরাপত্তা রয়েছে। সাঁজোয়া যান নিয়ে পুলিশের অবস্থানের পাশাপাশি রয়েছে র‌্যাবের টহলও।