মির্জা আলমগীর- শওকত মাহমুদ ও গয়েশ্বরের মুক্তির দাবিতে নিউইয়র্কে বিএনপির বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি- এনা।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি- এনা।

নিউইয়র্ক থেকে এনা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, জাতীয় প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি ও বিএফইউজের সভাপতি শতকত মাহমুদের নি:শর্ত মুক্তি ও সকল রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গত ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় (নিউইয়র্ক সময়) বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা জ্যাকসন হাইটসের ড্রাইভার সিটি প্লাজায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লুর সভাপতিত্বে এবং বিএনপি নেতা এম বাসেত রহমানের পরিচলনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন, এবাদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সভাপতি এম এ বাসিত, রেজাউল আজাদ ভুইয়া।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা আবুল হাশেম শাহাদত, এমলাখ হোসেন ফয়সাল, চৌধুরী সালেহ, বিলাল চৌধুরী, শেখ হায়দার আলী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, খালেমুল মুলক, সাইফুর খান হারুন, জিল্লুর হক, মিফতা উদ্দিন চৌধুরী মামুন, শার্মাল মুরাদ, শাহাদত হোসেন রাজু, জাহিদ খান, শোয়েব চৌধুরী, নাজিম চৌধুরী রিঙ্কু, মোহাম্মদ আরশাদ খান, আব্দুস সামাদ টিটু, সরিফুল খালিশদার, ফিরোজ আহমেদ, ওমর আশরাফ ইমন, শোয়েব আহমেদ, জহির খান, তারভীর চৌধুরী প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজনীতিকেও ধ্বংস করে দিচ্ছে। এক দলীয় শাসন কায়েম করার জন্য তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা দায়েরে মেতে উঠেছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ইলিয়াস আলীসহ অনেক জনপ্রিয় নেতাকে গুম করেছে। আজ পর্যন্ত তাদের হদিস পাওয়া যায়নি। হত্যা ও গুম করেও সরকারের প্রতিহিংসার আগুন নেবেনি, বিএনপিকে নি:শেষ করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাংবাদিক নেতা এবং বিএনপির চেয়াপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অনেক শীর্ষ নেতাকে বিনা অপরাধে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। এরা অনেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ। তারপরেও তাদের জেলে নিয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। তিনি এই তিন নেতাসহ সারা দেশে বিএনপির গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি এবং তাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, শেখ হাসিনা বাবা শেখ মুজিবও গণতন্ত্রকে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা, নির্যাতন ও মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে রক্ষা পাননি, তিনিও রক্ষা পাবেন না। আগামীতে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে চরম স্বৈরাচারি শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে হবে। তিনি আরো বলেন, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে তিন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের জন্য শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানিয়েছে কিন্তু শেখ হাসিনা তা প্রত্যাক্ষাণ করেন। আসলে তিনি দেশে এবং দেশের মানুষের মঙ্গল চান না। মঙ্গল চাইলে খালেদা জিয়ার আহবানের সাড়া দিতেন। বিক্ষোভ সমাবেশে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়।