সিলেট জুড়ে সিএনজি ভাড়ায় নৈরাজ্য: মালিক-শ্রমিকরাই সর্বেসর্বা
সুরমা টাইমস ডেস্ক : সিলেট জুড়ে সিএনজি ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য চলছে। একের এক ধাপ বেড়েই চলছে সিএনজি ভাড়া। যাত্রীরা অভিযোগ করছে, সরকারী ভাবে সিএনজি ভাড়া নির্ধারিত না হওয়ায় বেশি টাকা আদায় করছে শ্রমিকরা। কিন্তু তাদের দৌরাত্ম বন্ধে কার্যকর কিছুই করছে না সংশ্লিষ্টরা। সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস বা সিএনজির দাম বাড়ানোর পর পরই কিলোমিটার প্রতি ২ থেকে ৩গুণ সিএনজি ভাড়া বাড়ান শ্রমিকেরা । সিলেট আম্বরখানা -সালুটিকর সড়কে সিএনজি মালিক ও শ্রমিকদের এমন চিত্র লক্ষ্য করা যায় স্বরজমিন ঘুরে। এছাড়া ,আম্বরখানা-বাদাঘাট,বন্দর-গোয়াইনঘাট,বন্দর-জাফলং, বন্দর-কানাইঘাট ,আম্বরখানা-কোম্পানিগঞ্জ সহ একাধিক সড়কে অতিরিক্ত বাড়া আদায় এখন নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। বাড়তি ভাড়ার ওপর অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে এখন পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ছাড়াও যন্ত্রাংশসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় বৃদ্ধির অযুহাত তুলছেন। অথচ সরকারের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এসব বিবেচনা করেই। একাধিক মহল জানান, বিআরটিএ ভ্যাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অভিযান চালালে অতিরিক্ত ভাড়া ঠেকানো সম্ভব হতো। নানা কৌশলেই অতিরিক্ত টাকা আদায় করে পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা। লোকাল চললেও পুরো যাত্রাপথের ভাড়া আদায়, ভাড়ার তালিকা টাঙানো থাকে না কোথাও। তাই যাত্রীরা প্রতিবাদ করলেও লাভ হয় না। এসব সড়কে শ্রমিকেরা তাদের মন-ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছে বলে জানাযায়। বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়ার কোন হিসাবই নেই, মালিক-শ্রমিকরা যা ঠিক করেন তাই পরিশোধে বাধ্য হয় যাত্রীরা। আবার বাড়তি ভাড়া নিয়ে প্রতিদিন ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। এসব নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হলেও সরকারি সংস্থার উদ্যোগহীনতায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে যাত্রীরা। বিনা বাক্যব্যয়ে অন্যায় মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। আবার কোন রুটে কত ভাড়া সে বিষয়ে সিএনজি অফিসেই চার্ট টাঙানো নেই। জানা যায়, আম্বরখানা থেকে সালুটিকর পর্যন্ত বাড়া ২০টাকা থেকে বর্তমানে ৩৫টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। হাদারপার হতে আম্বরখানা ৭০টাকার স্থলে ১০০টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। কেউ কেউএরচেয়েও বেশি আদায় করছেন। একাধিক সুত্র জানিয়েছে,সিএনজি শ্রমিকদের এমন কর্মকান্ডকে বাধা না দিয়ে বরং উৎসাহিত করছেন শ্রমিক নেতারা।
এ ব্যাপারে সিলেট অটোরিক্সা সিএনজি মালিক শ্রমিক সমিতির জেলা সদস্য ও আম্বরখানা শাখার সাংগঠনিক আবুল হুসেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি কয়েক দিন থেকে শুনা যাচ্ছে তবে আমরা ভাড়ার তালিকা অফিসে প্রস্তুত করে রেখেছি। অতিরিক্ত ভাড়া না নেওয়ার জন্য ড্রাইভারদের বলা হয়েছে তার পরও কোন ড্রাইভারের বিরোদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়াগেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এমন নৈরাজ্য বন্ধে সরকারের অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু সুদৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।