রাজানগর ইউনিয়নে, ধানের শীষ উঠতে পারে কুদরত পাশার হাতে
জুবের সরদার দিগন্ত, দিরাই-শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: দলীয় ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর থেকেই দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এতো দিন ভোটারদের মন জয় করতে ইউনিয়নের গ্রাম থেকে গ্রামান্তর ঘুরে বেড়ানো প্রার্থীরা। আর এখন নেতাদের সুদৃষ্টির জন্য, দিরাই, সুনামগঞ্জ থেকে শুরু করে ঢাকায় যোগাযোগ করেছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রাথীরা। উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যন পদে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাহসী সাংবাদিক একে কুদরত পাশা মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে। দলের অনেকেই মনে করছেন এবার ধানের শীষ উঠতে পারে কুদরত পাশার হাতে।
জানা যায়, একে কুদরত পাশা ১৯৯১ সালে গচিয়া এসএস উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করে আর তেমে তাকেননি একই ভাবে ১৯৯৩-৯৫ পর্যন্ত জগন্নাথপুর কলেজ ছাত্র দলের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন নিষ্টার সাথে। ১৯৯৬-৯৮ পর্যন্ত জাসাস মদন মোহন কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেও সুনাম অর্জন করেছেন। ২০০৩ সালে দিরাই উপজেলা বিএনপির সর্ব্বকনিষ্ট সদস্য মনোনীত হয়ে তিনি আলোচনায় আসেন। ২০১৪ সালে গঠিত দিরাই উপজেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মনোনীত হওয়ার পর তিনি তার কর্মদক্ষতা দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানান দলের একাধিক নেতাকর্মী। দিরাই-শাল্লার সাবেক সংসদ সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরী সুনামগঞ্জ যেদিন থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়ীত্ব পান সে দিন থেকে তিনি নাছির চৌধুরীর সাথে আন্দোলন সংগ্রামে সুনামগঞ্জের রাজপতে নিজেকে সক্রিয় রেখেছেন। নাছির চৌধুরীর আন্দোলন সংগ্রামের সকল খবর মিডিয়াতে প্রকাশের দায়িত্ব তিনি নিষ্টার সাথে পালন করে যাচ্ছেন। সে সুবাধে নেতা কর্মীদের কাছে তিনি নাছির চৌধুরীর কাছের লোক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। সে দৃষ্টিকোন থেকে সবার ধারনা রাজানগর ইউননিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপদে ধানের শীষ প্রতীক এবার কুদরত পাশার ভাগ্যে জোটতে পারে। রাজনীতির পাশা পাশি তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করছেন। বর্তমানে লন্ডন থেকে প্রকাশিত অনলাইন দৈনিক সিলেটের আলাপ ডট কম, জাতীয় দৈনিক আমারদেশ, স্থানীয় দৈনিক কাজির বাজার পত্রিকার সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এবং দৈনিক সুনামকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছেন। দিরাই প্রেসকাবের সাধারণ সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ প্রেসকাবের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি ইউনিয়নের ভোটারদের সাথে সম্পর্ক আরো জোড়দার করা চেষ্টা করছেন। ঈদ এবং পুজাতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ইউনিয়নে গণসংযোগ করেছেন তিনি। একজন উন্নয়ন কর্মী হিসেবে যে কোন দুর্যোগে তিনি ইউনিয়ন বাসীর পাশে দাড়িয়েছেন। ভিবিন্ন দাতা সংস্থার সাহায্য নিজ ইউনিয়নে বিতরণের জন্য তিনি সক্রিয় ভ’মিকা রেখেছেন।
এ ব্যাপারে কুদরত পাশা বলেন, সরকার নির্বাচনী প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। কিন্তু আমার দল বিএনপি এখনো নির্বাচন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমার নির্বাচনী এলাকা রাজানগর ইউনিয়ন নাছির চৌধুরীর ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। আমি আশা করি দলীয় নির্বাচনে দল অংশ গ্রহন করলে আমি ধানের শীষ প্রতীক পাবো। গত নির্বাচনে আমি মাঠে ছিলাম। দলীয় মনোনয় না পাওয়ায় নির্বাচন করিনি। দলের মনোনীত প্রার্থীর সাথে নির্বাচনে সার্বক্ষনিক ছিলাম। নাছির চৌধুরী আমার নেতা দলের প্রয়োজনে তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটা মেনে নিয়ে কাজ করবো।