সবজি ও ডিমের দাম কমলেও বেড়েছে মুরগির দাম
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ গত সপ্তাহের চেয়েও কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি, ডিম ও ভোজ্য তেল। তবে বেড়েছে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আটা, ব্রয়লার মুরগি ও মাছের দাম। শুক্রবার রাজধানীর নিউমার্কেট, কারওয়ানবাজার, গুলশান, মহাখালী, রামপুরা ও বাড্ডাসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৮ টাকায়। আর বিদেশি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। রসুন ১শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, টমেটো ৭০ থেকে ৯০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৭০ টাকা, ঢেড়স ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা এবং করলা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউ ৫০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে একই দরে। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সব ধরনের চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি কেজি মোটা ও চিকন চালের দাম কেজি প্রতি ২ টাকা থেকে ৩ টাকা করে বেড়েছে। বিক্রেতাদের দাবি, সামনে চালের দাম আরো বাড়বে। বর্তমানে প্রতি কেজি লতা চাল ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা, পাইজাম ৪০ টাকা, নাজিরশাইল ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা থেকে ৫৪ টাকায়। কাওরান বাজারে সাপ্তাহের বাজার করতে আসা সারোয়ার আমল জানান, ঈদের পর ব্রয়লার মুরগির দাম কমার পর এ সপ্তাহে আবার বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১শ ২০ টাকায়। তাছাড়া প্রতি হালি সাদা ডিম বিক্রি হয়েছ ৩৫ টাকায়। শুক্রবার প্রায় সব বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১শ ৩০ টাকায় । নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্যে ভালো খবর হচ্ছে খোলা বাজারে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম কমেছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম। বাজারে সব ধরনের মাছের দাম চড়া। বেড়েছে ইলিশের দামও। বিক্রেতারা বলছেন, শীতে জেলেরা নদীতে ইলিশ ধরতে গেলেও পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। বড় সাইজের কই মাছ প্রতি কেজি ২৫০ টাকা ও ছোট সাইজের কই প্রতি কেজি ২০০ টাকা, শোল মাছ ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৫০ টাকা এবং মাঝারি শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬শ` টাকা দরে।