গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বাংলাদেশে আইএসে’র তৎপরতার খবর

57582সরাষ্ট্রপ্রতিমণ্ত্রী সহ ক্ষমতাসীন দলের বেশ কিছু নেতারা সম্প্রতি দেশে আইএসের অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করলেও দেশে জঙ্গি সংগঠন আইএস তৎপর রয়েছে। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেই এর সত্যতা মিলেছে।
গত ২৬শে অক্টোবর দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক (গোপনীয়তার স্বার্থে নাম উহ্য রাখা হলো) বাংলাদেশে আইএস জঙ্গি সংগঠনের সংগঠক হিসেবে কাজ করছে এবং এ দেশে এর একটি সমর্থক গোষ্ঠী তৈরি করার জন্য প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয় ব্যক্তি ‘রাক্কাহ’ নামক একটি সংগঠনের (যা সিরিয়াভিত্তিক সংগঠন আইএসআইএলের অন্তর্ভুক্ত) সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে এবং ‘রাক্কাহ’-এর পক্ষ থেকে ওই বাংলাদেশী নাগরিকের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ পাঠানো হচ্ছে মর্মে জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন আইএসের সংগঠক হিসেবে তৎপর এ ব্যক্তি বাংলাদেশে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পরিকল্পনা করছে এবং এ দেশেই তারা আইএস থেকে ‘আগ্নেয়ান্ত্রের সাইলেন্সসার’ তৈরির নির্দেশাবলি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে এ আইএস গোষ্ঠী সংগঠিত হয়ে সিরিজ হামলাসহ সারা দেশে বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে পারে। তারা বাংলাদেশে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করছে মর্মেও ওই গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তি বিমান হামলা পরিচালনা করা এবং প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভ (পিইটিএন) তৈরিতে বিশারদ। বিস্ফোরক দ্রব্যাদি গোপনে বিমানে স্থাপন করে নির্দিষ্ট উচ্চতায় ওঠার পরে কীভাবে সয়ংক্রিয়ভাবে বিস্ফোরিত হবে সে বিষয়ে দক্ষ বলে জানা যায়। ব্যক্তিটি দেশীয় জঙ্গি সংগঠনগুলো ছাড়াও সিরিয়ার বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে দেশে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর শক্ত বলয় তৈরি করার চেষ্টা করছে মর্মে জানা যায়।
প্রতিবেদনের শেষে বলা হয়েছে, ঐ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য অত্র সংস্থাসহ অন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বিষয়টি সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পাঠানো হলো।
প্রতিবেদনের কপিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে মার্কিন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল যে, আইএস-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে তৎপরতা বৃদ্ধির প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে বাংলাদেশ সরকার বরাবরই বলে আসছে বাংলাদেশে আইএস-এর কোন অস্তিত্ব নেই। – মানবজমিন