বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাধা দূর করার আহ্বান
সুরমা টাইমস ডেস্ক : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ রফতানিতে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য এখানে চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাধাগুলো দূর হলে বাংলাদেশ আরও দ্রুত এগিয়ে যাবে। থাইল্যান্ডে সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার ব্যাংককে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোস্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক (ইসক্যাপ)-এর এশিয়া প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামের দ্বাদশ কনফারেন্সের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড, ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ, রিজিওনাল কনফ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ, আসিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটি অ্যান্ড আদার রিজিওনাল ইনিসিয়েটিভস’- শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রথম বক্তা হিসেবে কক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া মিরাক্কেল। বিশ্বের বড় বড় গবেষাণা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের প্রশংসা করছে এবং এগিয়ে যাবার পূর্বাভাস দিচ্ছে। তিনি বলেন, স্বশস্ত্রযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। শূন্য হাতে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু। সে সময় বাংলাদেশ ৬৮টি দেশে ২৫টি পণ্য রফতানি করে আয় করতো মাত্র ৩৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আজ বাংলাদেশ ১৯৬টি দেশে ৭২৯টি পণ্য রফতানি করে আয় করছে প্রায় ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে আগামী ২০২১ সালে রফতানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। তৈরি পোশাক রফতানিতে আমরা পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানিকারক দেশ। রফতানি বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা মোতাবেক রফতানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং রফতানি বাজার সম্প্রসারণে কাজ করছে সরকার। এখন প্রয়োজন বাণিজ্য সহযোগিতার পাশাপাশি তা সম্প্রসারণে বাধাগুলো দূর করা। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ইসক্যাপ বিজনেস অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের চেয়ারপারসন দাতুক সিরি মোহাম্মদ ইকবাল রাওদার, ইউএনএসক্যাপ-এর এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ড. শামশাদ আখতার। কি-নোট উপস্থাপন করেন থাইল্যান্ডের ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টিার ড. সমকিড জাতুশ্রীপিতাক। প্যানেল আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন নিউজিল্যান্ডের রোভিং ইকোনমিক ডেভোলপমেন্ট মিনিস্টার ফর দ্য প্যাসিফিক হন সেন জনস কমবোডিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের স্টেট সেক্রেটারি তেক্রিতকামরাং। পরে বাণিজ্যমন্ত্রী জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং ইউএনএসক্যাপ-এর এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ড. শামশাদ আখতারের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। এসময় মন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ইউএনএসক্যাপ-এর টেকনিক্যাল এবং সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন এবং বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান। তিনি বাণিজ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং আগামী বছর সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আশা ব্যক্ত করেন। বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধান এবং টেকনিক্যাল সহযোগিতা প্রদানের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাসও দেন।