গোয়াইনঘাট খুনের মামলায় দুই জনের যাবজ্জীবন সহ সাত জনের দশ বছরের সশ্রম করাদন্ড
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম আজ ০২ রা নভেম্বর একটি খুনের মামলার রায়ে মোট ১৩ জন আসামির মধ্যে জালাল উদ্দিন ও নূর মিয়া নামের দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারদ- এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমান, যাহা অনাদায়ে আরও ০৬ মাসের সশ্রম করাদ- প্রদান করেছেন। বিচারক তার রায়ে মামলার সহ আসামী আসাব আলী, তাজুল ইসলাম, হাছান আলী, বিল্লাল উদ্দিন, কলিম উল্লা, আতর আলী ও সুরুজ আলীকেও ১০ বছরের সশ্রম করাদ- এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, যাহা অনাদায়ে অতিরিক্ত ০৬ মাসের সশ্রম কারাদ-ে দ-িত করেছেন। মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচলনা করেন এপি,পি, মোস্তফা দিলওয়ার আল আজহার এবং
এজাহরদাতার নিযুক্ত আইনজীবি সিলেটের সাবেক পিপি এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম। অপরদিকে আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এড. মোঃ লালা, এড. মোঃ নুরুল হক, এড. বিভাষ চন্দ্র দাস, এডভোকেট গোলাম ইয়াহিয়া চৌধুরী। মামলার মোট ১৪ জন আসামির মধ্যে একজন আসামী মহরর আলী বিচার চলাকালে মৃত্যুবরণ করেন এবং তিন জন আসামী পলাতক মামলায় তাদের পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এডভোকেট তমাল চন্দ্র নাথ। মামলার ঘটনায় সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই সকাল অনুমান ১০ ঘটিকার সময় এজাহারদাতা মৌলানা আব্দুল মান্নান, তার বাবা মো. আব্দুল করিম এবং ১৩ বছর বয়স্ক ভাই আব্দুস সোবহান উরফে ইনসান সহ পরিবারের সদস্যগণ সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট থানাধীন গুরকাছি বাজারে দোকানভিটাায় ঘর নির্মণ করতে গেলে আসামী পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদেরকে আক্রমণ করে আহত করে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক আব্দুস সোবহান ইনসানের জখম গুরুতর হওয়ায় তাকে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে জখমীকে ঢাকায় স্থানন্তর করা হয় এবং ঢাকায় নিরূপম হাসপাতালে ২৫ জুলাই পূর্বের জখমের কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতে সর্বমোট ১২ জন সাক্ষী উপস্থাপন করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শ্রবণ করে ০২রা নভেম্বর পূর্বাহ্নে প্রকাশ্য আদালতে রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় পলাতক আসামি নূর মিয়া, তাজুল ইসলাম ও সিরাজ উদ্দিন ছাড়া অবশিষ্ট আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। ঘোষিত রায়ে ফয়জুল উরফে হুজুল, সিরাজ উদ্দিন, আল-আমীন এবং ফারুক আহমদকে খালাস প্রদান করা হয়।