বর্তমান সরকার সন্ত্রাসবাদের উপর টিকে আছে : তারেক (ভিডিও)
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য যে দলের কোন সৎ পরিকল্পনা থাকে না। যারা নিজেরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। মানুষের ক্ষমতার উপরে যাদের কোন আস্থা নেই। তখন সেই দলটা, সেই সরকারটা বেছে নেয় সস্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ এবং জঙ্গিবাদ ও জুজুর ভয় দেখায়। কারন তাদেরকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে এই সন্ত্রাসের উপর দিয়ে টিকে থাকতে হবে। যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত “সিভিক মিটিং” এ তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক জিয়া আরো বলেন, বর্তমান সরকার যে সন্ত্রাসবাদের উপর টিকে আছে তার বড় প্রমাণ হলে বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি। জনগণ যাতে করে সরকারের উপর প্রতিবাদ করতে না পারে, মুখ খুলতে না পারে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারে সেই জন্য বর্তমান সরকার এদেরকে ব্যাতি ব্যস্ত রাখার জন্য বিভিন্ন গল্প তৈরি করে, এইসব পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, এইসব হত্যাকান্ড ঘটিয়ে জনগণকে ভিত করে রেখে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ উত্থান করেছে।
নিউইর্য়ক টাইমসে প্রকাশিত হয়েছে, শেখ হাসিনা সেপ্টেম্বর মাসে নিউইর্য়ক সফরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের সরকার বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে বিদেশি হত্যাকান্ডের কথা জানিয়েছিল। কিন্তু দেখা যায়, শেখ হাসিনা সরকার ও তার নেতা মন্ত্রীরা তা আমলে না নিয়ে উল্টো তথ্যদাতাদের গালমন্দ করেছে।
বহির্বিশ্ব বিএনপি নেতাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার যে মতবিনিময় সভা হওয়ার কথা ছিল তা আর হচ্ছে না। সভায় বিএনপি সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন পর কোনো সভায় মা ও ছেলে একসঙ্গে উপস্থিত হলেন। যদিও গত ঈদের দিন এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তারা দুজন উপস্থিত ছিলেন। তবে সেখানে তারেক রহমান কোনো কথা বলেননি। গতকালের মতবিনিময় সভায় মা ও ছেলে দুজনেরই বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল। সভা শুরুর আগে যুুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালেক টেলিফোনে জানান, অনুষ্ঠানে কমিউনিটি নেতারা, সাংবাদিক, পেশাজীবীসহ সহস্রাধিক অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
লন্ডনে খালেদা জিয়ার ওই মতবিনিময় সভা প্রতিহতের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলের আশেপাশে অবস্থান নেন। তবে এই রিপোর্ট (রাত দেড়টা) লেখা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তখন পর্যন্ত খালেদা জিয়া বা তারেক রহমান বক্তব্য দেননি।
সভার আগে লন্ডন বিএনপি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রবাসী নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিতে পারেন। সর্বশেষ বাংলাদেশে প্রকাশক ও লেখকের ওপর হামলা এবং দুই বিদেশী খুনের ঘটনায় বিএনপির নেতাদের জড়িয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেই ব্যাপারেও কথা বলবেন তিনি।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালেকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন অসীম, তাবিথ আউয়াল, যুক্তরাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, যুক্তরাজ্য সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর ডা. কেএমএ মালিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এমএ সালাম, ব্যারিস্টার আবু সায়েম, হুমায়ুন কবির, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার তারিক বিন আজিজ, বিএনপি নেতা শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস, মুজিবুর রহমান মজিবসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে কয়েকশ নেতা অংশ নেন।
১৬ সেপ্টেম্বর চোখের চিকিৎসা করাতে লন্ডন যান খালেদা জিয়া। তার দেশে ফেরার ব্যাপারে দলের নেতারা সুনির্দিষ্ট করে কিছুই বলতে পারছেন না। ইতিমধ্যে চারদফা টিকিট বুকিং দিয়েও শেষমুহূর্তে তা বাতিল করা হয়। তবে দেশে ও লন্ডন বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতেই তিনি দেশে ফিরতে পারেন।