সবকিছুর জন্য লেডি হিটলার ও তার দল দায়ী : খালেদা (ভিডিও)

Khaledaসুরমা টাইমস ডেস্কঃ বর্তমানে বাংলাদেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দেশে এখন আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। খালেদা জিয়া বলেছেন, “বাংলাদেশের মানুষ আজকে মোটেও ভালো নেই। মোটেও শান্তিতে নেই। প্রতিনিয়ত জুলুম অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।”
বর্তমানে দেশে রাজতন্ত্র কায়েম হয়েছে অভিযোগ করে এর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দোষারোপ করেছেন বিএনপি নেত্রী।
“এক রাজতন্ত্র বাংলাদেশে কায়েম হয়েছে এখন। রাজতন্ত্রের জন্য আছেন একজন লেডি হিটলার। কারণ তিনি যা হুকুম দিচ্ছেন, নির্দেশ দিচ্ছেন তার সৈন্য-সামন্তরা যারা আছে, অর্থাৎ প্রশসন, তারা সেভাবে কাজ করছেন। সবকিছু তার কথা মতো চলে।”
এমপি হওয়ার যোগ্যতা নেই এমন অনেককে মন্ত্রী করা হয়েছে বলে মনে করেন খালেদা। বর্তমানে বাংলাদেশে বেসামরিক প্রশাসনকে পুরোপুরি দলীয়করণ করে অনেক যোগ্য, মেধাবী কর্মকর্তাকে দায়িত্বের বাইরে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেত্রী। গত দেড় মাস ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত খালেদা জিয়া রোববার লন্ডনের রিভারব্যাংক পার্ক হোটেল প্লাজায় একটি নাগরিক সভায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন। চিকিৎসার জন্য গত ১৬ সেপ্টেম্বর লন্ডনে আসার এটাই ছিল খালেদা জিয়ার প্রথম প্রকাশ্য সভা। যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত সভায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান ছেলে তারেক রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী খালেদার পাশে মঞ্চে বসেন। দর্শক সারিতে পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পরাজিত বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে দেখা গেছে। বক্তব্যের শুরুর দিকেই যুক্তরাজ্যে অবস্থানের সুবাদে প্রত্যক্ষ করা সেখানকার আইন-শৃঙ্খখলার উচ্চ প্রশংসা করেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
“দেড় মাসে অনেক কিছু দেখেছি, খুব ভালো লেগেছে। তাদের যে আইনশৃঙ্খলা এবং সুন্দর যে সব আইন আছে সেগুলো আমার মনে হয়, অনেক ভালো জিনিস শেখার আছে।”
শুধু শেখার নয়, এসব আইন-কানুন বাংলাদেশে বাস্তবায়নের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন খালেদা জিয়া।  চিকিৎসার জন্য রোজার ঈদের আগে লন্ডনে গিয়ে ছেলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে আছেন তিনি। দীর্ঘদিন পরিবার থেকে দূরে থাকার কথা নেতাকর্মীদের জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, “পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য এখানে এসেছি।”
তবে এখন দেশে ফিরতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, “বহুদিন পর পরিবারের সঙ্গে দেখা এবং তারা ছাড়তে চায় না। আরও থাকতে বলে। “কিন্তু আপনারা প্রত্যেকে জানেন দেশের কী অবস্থা! আমার দেশে যাওয়া প্রয়োজন। সেজন্য আমাকে দেশে যেতে হবে।” খালেদা জিয়ার এই সভা চলাকালে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের একদল নেতাকর্মী হোটেলের বাইরে বিক্ষোভ করেন।