ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারিতে সরকারি খাস জমির দখল সংঘর্ষে নিহত ১
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারিতে সরকারি খাস জমির দখল ও কমিশন নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তঃত আরো ১৫ জন। শুক্রবার সকাল ১০টায় ধলাই নদীর কালীবাড়ি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত ছোটন মিয়া (২৫), ভোলাগঞ্জ এলাকার সমর আলীর ছেলে। সে সিলেট ল’কলেজ ছাত্র। তাছাড়া নিহত ছোটনের বড় ভাই আফজাল হোসেন বতুল্লা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের নেতা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তবে থানায় এখনো কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে সুরমার ডাককে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার মিয়া আবুল কালাম আজাদ। এ ঘটনায় নিহত ছোটন স্থানীয় ইউপি সদস্য ধুলা মেম্বার গ্রুপের সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধলাই সেতুর উজানে সরকারি খাস জমিতে বোমা মেশিন দিয়ে একটি পাথর খেকো চক্র প্রতিনিয়ত অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছে। আর উত্তোলনকৃত পাথর থেকে একটি অংশ কখনো ভাগভাটোরা করে আবার কখনো জোরপূর্বক হাতিয়ে নিতো ভোলাগঞ্জ গ্রামের ধুলা মেম্বার গ্রুপ এবং আলিম উদ্দিন-সৈয়দুর রহমান গ্রুপ। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে চলছিল বিশাল বিরোধ। শুক্রবার খাস জায়গা দখল ও কমিশন নিয়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আলিম উদ্দিন-সৈয়দুর রহমান গ্রুপের অস্ত্রধারী ক্যাডার কালাবাড়ি গ্রামের মৃত বারী মিয়ার ছেলে শাহাব উদ্দিন, সৈয়দুর রহমান, আলীম উদ্দিন, জৈন উদ্দিন হত্যা মামলার আসামী রজনের নেতৃত্ত্বে বেশকিছু সন্ত্রাসী হামলা চালায় অপর দখলবাজা ও পাথরখোকো ধুলা মেম্বার গ্রুপের উপর। উভয় পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষের এক পর্যায়ে নিহত হয় ধুলা মেম্বার গ্রুপের সদস্য ও তার ভাগনা ছোটন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। লাশটি উদ্ধার কওে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
যোগাযোগ করা হলে কোম্পানীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার মিয়া আবুল কালাম আজাদ জানান, ভোলাগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে অবস্থান করে। তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করে সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে, নিহতের বিষয়ে তিনি খোঁজ খবর নিচ্ছেন। থানায় এখনো কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে আসামীদের ধরতে পুলিশ ওই এলাকায় সাড়াঁশি অভিযান শুরু করেছে।