ওসমানীতে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করতে পারলেন না ফখরুল
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট সফরে এসেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি ফ্লাইটে তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছান। এসময় তাকে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্চ ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি। পরে তিনি সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কনকোর্স হল হয়ে বিমানবন্দরের বাহিরে আসেন। দলীয় সূত্র সিলেটভিউ২৪ডটকমকে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, বিএনপির শীর্ষ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকে ওসামনী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে ভিতরে ঢুকার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের ভিতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
এর ভিতরে ঢুকার জন্য বিমান বন্দরের ম্যানেজারকে অনুরোধ করেন বিএনপির নেতার। তাদের অনুরোধে বিএনপির তিন নেতাকে ভিতরে ঢুকার অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। তারা হলেন- মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ হক, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন ও সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি ফ্লাইটে করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় বিএনপির ওই তিন নেতা তাকে স্বাগত জানান। পরবর্তীতে মীর্জা ফখরুলকে নিয়ে ফের বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্চ দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন বিএনপির নেতারা। কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা। পরে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কনকোর্স হল হয়ে বিমানবন্দরের বাহিরে আসেন মির্জা ফখরুল। এ সময় মীর্জা ফখরুলের সঙ্গে তার স্ত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছে বিএনপি সূত্র।
বিমানবন্দরে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে স্বাগত জানান স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নুরুল হক, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিম, সদস্য রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী, বিএনপি নেতা আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, আব্দুল গাফফার, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, মাহবুব চৌধুরী, মঈন উদ্দিন সুহেল, ফরহাদ চৌধুরী শামীম, আব্দুল আহাদ খান জামাল প্রমুখ।
এরপর মির্জা ফখরুলকে নিয়ে নেতাকর্মীরা হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে আসেন। সেখানে তিনি জুমার নামাজ আদায় করেন এবং মাজার জিয়ারত করে। মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়েছিলেন ফখরুল। কিন্তু সেখানে তিনি কথা বলেননি। শাহজালাল মাজার জিয়ারত শেষে তিনি হযরত শাহপরাণ মাজার জিয়ারতে যান তিনি।