শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বেঈমান চিরকালই বেঈমান

57303সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়া শমসের মবিন চৌধুরীকে অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য ‘বেঈমান’ বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছরের ৩ আগস্ট কৃষক লীগের শোক কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী একজন বেঈমান।  বঙ্গবন্ধু তাকে জার্মানিতে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করিয়েছিলেন। অথচ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসনে সহায়তা করেছিলেন শমসের মবিন।  পুনর্বাসনের ওই দায়িত্ব পড়েছিল আজকের শমসের মবিন চৌধুরীর ওপর। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বেঈমান চিরকালই বেঈমান।
যেভাবে আহত হয়েছিলেন শমসের মবিন
একাত্তরে সেনাবাহিনীতে ছিলেন শমসের মবিন চৌধুরী। ২৫ মার্চ তাকে চট্টগ্রামে জনতার ব্যারিকেড ভেঙে দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়। রাতে বাঙালি অন্য সেনা সদস্যদের সঙ্গে বিদ্রোহ করে ২৬ মার্চ ভোরে কালুরঘাট পৌঁছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আনুগত্য ঘোষণা করেন তিনি। ১১ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী কালুরঘাটে হামলা করলে বাঙালি অন্য অফিসাররা সরে যেতে পারলেও পাকিস্তানিদের গুলিতে আহত হন শমসের মবিন। আহতাবস্থায় তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শালের প্রস্তুতর মধ্যেই ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করলে মুক্তি পান তিনি। তাকে বীরবিক্রম উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তার কোমরে গুলি লাগায় তিনি পঙ্গু হয়ে যাওয়ার কারণে সেনাবাহিনীতে মেজর পদে থাকাবস্থায় তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। তার চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু তাকে জার্মানিতে পাঠান। চাকরির পর বিএনপিতে জিয়াউর রহমান এবং তার পরিবারের সঙ্গে সবসময়ই ঘনিষ্ঠ ছিলেন শমসের মবিন চৌধুরী। তারই ধারাবাহিকতায় পররাষ্ট্র সচিব এবং রাষ্ট্রদূতের চাকরি জীবন শেষে ২০০৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনের সময় তিনি তারেক রহমানের রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজন করে আলোচনায় আসেন।
গত বছর তারেক রহমানের সঙ্গে তার একটি টেলিসংলাপ ফাঁস হয়ে গেলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি। তারেক রহমানের সঙ্গে মতবিরোধের জের ধরেই নাকি বিএনপি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন শমসের মবিন চৌধুরী এমন আলোচনা রাজনৈতিক অঙ্গনে। আলোচনা আছে, বিএনপির দুঃসময়ে রাজনীতি থেকে অবসর নিলেন তিনি।