কে এই ‘বড়ভাই’ ?
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ‘কথিত বড়ভাই’এর নির্দেশে জাতিকে লজ্জায় ফেলে খুন করা হয়েছে ইতালিয়ান নাগরিক তাভেল্লা সিজারকে। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করলেই এ হত্যাকাণ্ডের পেছনের মোটিভ ও ইন্ধনদাতাদের সম্পর্কে জানা যাবে। তবে এ বড়ভাইকে শনাক্ত করা হলেও এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাই তাকে নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে।তাভেল্লা সিজার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আযোজন করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মিনহাজুল আবেদীন রাসেল ওরফে ভাগ্নে রাসেল ওরফে কালা রাসেল, রাসেল চৌধুরী ওরফে চাকতি রাসেল, তানজিদ আহমেদ রুবেল ওরফে শ্যুটার রুবেল ও সাখাওয়াত হোসেন শরীফ। রবিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য উদ্ধৃত করে ডিএমপি কমিশনার জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ভাগ্নে রাসেল, চাকতি রাসেল ও শ্যুটার রুবেল কিলিং মিশনে অংশ নেয়। আর শরীফ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক। তার মোটরসাইকেলটিও আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, একজন সাদা চামড়ার বিদেশিকে হত্যার জন্য কথিত বড়ভাই গ্রেপ্তারকৃতদের ভাড়া করে। সে অনুযায়ী তাদের অর্ধেক টাকা অগ্রিম দেয়া হয়। এসময় তারা কেন বিদেশি হত্যা জানতে চাইলে ওই বড় ভাই বলেন, সরকার বেশি বাড়াবাড়ি করছে।তাদেরকে চাপে ফেলতে হবে। আর এ জন্য একজন সাদা চামড়ার মানুষকে বেছে নিতে হবে।পুলিশের এই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, যারা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে চায় তারাই তাদের ইন্দনেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটনো হয়েছে। কথিত বড়ভাইকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই হত্যার নেপথ্য নায়কদের বের করা যাবে।এর সাথে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, উপযুক্ত প্রমাণ পেলে আমরা তা জাতির কাছে তুলে ধরব।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আছাদুজ্জমান মিয়া বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে চাপে ফেলার জন্য এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। যারা বাংলাদেশকে অশান্ত করতে চায় তাদের আপনি/আমি সবাই জানি। যারা জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে তাদের সম্পৃক্ততা আছে কিনা খুঁজে দেখার চেষ্টা করছি।হত্যাকাণ্ডে আইএসের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে তিনি বলেন, মূল হত্যাকারীদের আড়াল করতেই আইএসের ওপর দায় চাপানো হয়েছে। ওই বড়ভাইকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই কারা এর সঙ্গে জড়িত সেসব সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।
এই বড়ভাইকে শনাক্ত করা গেছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, আমরা সেই বড় ভাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তাকে ধরতে পারলেই হত্যাকাণ্ডের মোটিভ ও পেছনের মদদদাতাদের বের করা যাবে।প্রসঙ্গত, গত ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের সড়কে তাভেল্লাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা পালিয়ে যায় মোটর সাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা।তিনি আইসিসিও কো-অপারেশন নামে একটি সংস্থার প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচ্যুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।