বড়লেখায় ফেরিওয়ালা ছদ্মবেশে চুরি : চোরচক্রের মূলহোতা গ্রেফতার (ভিডিও)
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সাম্প্রতিক সময়ে অব্যাহতভাবে দিন-দুপুরে দুঃসাহসিক চুরির ক্লু অবশেষে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার (২৪ অক্টোবর) ফারুক আহমদ (২৫) নামক এক দুর্ধর্ষ চোরকে গ্রেফতারের পর চোরচক্রের সন্ধান ও চুরির অভিনব কৌশল জানতে পেরেছে পুলিশ। ফারুক উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউপির খড়মপুর গ্রামের রুবেল আহমদের পুত্র।
যে বাসা-বাড়িতে চুরি হবে ফেরিওয়ালা ও টোকাই ছদ্মবেশে সেটি আগে পর্যবেক্ষণ করা হতো। পরে সুযোগ মতো চলতো অপারেশন।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে পৌর শহরের উত্তর চৌমুহনী এলাকার লোকমান মিয়ার কলোনি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার ঘর থেকে পুলিশ নগদ একান্ন হাজার টাকা, মোবাইল ফোন, ট্যাব, স্বর্ণালংকারসহ চুরি হওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে পুলিশ চোরাই স্বর্ণালংকার ক্রেতা স্বর্ণের কারিগর সঞ্জয় কর্মকার (২৪) কে আটক করে। চোরাই স্বর্ণালংকার ক্রেতা সঞ্জয়ও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ফারুকের কাছ থেকে স্বর্ণ ক্রয়ের কথা স্বীকার করে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক পানিধারের নারী শিক্ষা একাডেমি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হারুন-উর রশীদ, হাসপাতালের হিসাব রক্ষক সেলিম রেজা ও রতন মাষ্টারের বাসায় চুরির কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে ফারুক চুরি করার কৌশলও বর্ণনা করে। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ শনিবার দিনভর সরেজমিনে চুরি হওয়া স্পটগুলোতে তাকে নিয়ে যায়। স্পটে সে কিভাবে ঘরে প্রবেশ করে চুরি করত তা দেখায়। ঘরে প্রবেশের কৌশল দেখে উপস্থিত জনতা হতবাক হয়ে যান।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান জানান, গ্রেফতারকৃত ফারুকের বাসা থেকে পৌর শহরে চুরি হওয়া কয়েকটি বাসার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। সে চুরির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সাম্প্রতিক কালে পৌর শহরে দিন-দুপুরে চুরি হওয়ার রহস্য উন্মোচন হবে এবং জড়িত অন্যান্যদের কে ধরতে সাড়াশি অভিযান চলছে।