ফেঞ্চুগঞ্জে বালিকা বধু পেলেন না সৌদি প্রবাসী : মুচলেকা দিয়ে মুক্ত!
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ কমিউনিটি সেন্টার জুড়ে বিয়ের বিরাট আয়োজন। মধ্য দুপুরে সৌদী প্রবাসী বর বিয়ের বিশাল গাড়ি বহর নিয়ে হাজির কমিউনিনিটি সেন্টারে।কনে পক্ষের কিশোর-কিশোরীরা ফুলেল অভ্যর্থনা জানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বরযাত্রীদের জন্য রান্না করা হয়েছে রোষ্ট, পোলাওসহ কয়েক পদের খাবার। অতিথিরা উপহার সামগ্রী নিয়ে ইতিমধ্যে বিবাহস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। বিয়ের লাল বেনারশি শাড়ি পড়ে বধূ বেশে বসে আছে কিশোরীটি। কিন্তু বিধিবাম! দলবল নিয়ে হাজির উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হুরে জান্নাত।
উভয়পক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে সত্যতা পাওয়া গেল বাল্য বিয়ের। পরে কনের পিতাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেই সাথে বর এবং কনের পিতা লিখিত মুচলেকা দেন মেয়ের বিয়ের সঠিক বয়স হওয়ার পর বিয়ে হবে। কনে ছাড়াই বর এবং বরযাত্রীরা না খেয়েই কমিউনিটি সেন্টার ত্যাগ করেন। বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন ফেঞ্চুগঞ্জ উজেলা নির্বাহী অফিসার হুরে জান্নাত। তিনি বলেন, বধূবেশে বসা মেয়েটির ভাষ্যমতে, ২০০০সালে তার জন্ম হয়েছে। সে হিসাবে তার বিয়ের বয়স হয়নি। বৃহস্পতিবার সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ইলাশপুরের অপ্রাপ্ত বয়সের এক কিশোরীর (১৫) সাথে বিয়ের দিন ধার্য্য ছিলো পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার ইউনিয়নের নইখাই গ্রামের মৃত আশিদ আলীর পুত্র জাবের আহমদ দলা মিয়া (৩৬) সাথে। বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে এমন খবর পেয়ে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কিষ্ট্রাললাইট কমিউনিটি সেন্টারে পুলিশ নিয়ে প্রবেশ করেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুরে জান্নাত। পরে তিনি বিয়েটি বন্ধ করে দেন।
ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালে বাল্যবিবাহের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সাথে অশুভণ আচরণ করেন উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা খছরু মিয়া।