ডাকাত আতঙ্কে চুনারুঘাটবাসী
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ চুনারুঘাটে চলতি মাসে চা-বাগানসহ উপজেলার পল্লী এলাকায় ৫টি ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় ডাকাতদের আক্রমণে গৃহকর্তাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ডাকাতরা গৃহকর্তা, গৃহকর্মী ও শিশুদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকাসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে গেছে। এসব ঘটনার কোনটিতে মামলা হয়নি, উদ্ধার হয়নি মালামাল কিংবা টাকা। আটক হয়নি কোনো ডাকাত। ফলে উপজেলার পল্লী এলাকায় এখন ডাকাত আতংক বিরাজ করছে।
জানা যায়, ১৪ সেপ্টেম্বর রাত ২টায় উপজেলার আমু চা-বাগানের করনিক ও ব্যবসায়ী দিলিপ তাতীর ঘরের গ্রিল কেটে সংঘবদ্ধ ১০/১৫ জনের একদল ডাকাত প্রবেশ করে গৃহকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে নগদ ৫ লাখ টাকাসহ ১০ লাখ টাকার স্বর্ণলংকার ও মালমাল লুট করে নিয়ে যায়। ১২ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের গনেশপুর গ্রামের মৃত আ. রহমানের ছেলে আ. জলিলের বসত ঘরে ১৩/১৪ জনের একদল ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গ্রিল কাটার সময় পরিবারের লোকজন ডাকাত দলকে দাওয়া করলে পালিয়ে যায়।
ওই দিন একই গ্রামের রিপন এর বসত ঘরে গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৪ লাখ টাকাসহ স্বর্ণালংকার ও মালমাল নিয়ে যায় ডাকাতরা। এদিকে ৫ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের ভল্ববপুর গ্রামের আ. হান্নানের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতদল গৃহকর্তা আ. হান্নান ও তার পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে নগদ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণসহ ৬ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়। এ ব্যাপারে তিনি চুনারুঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এছাড়া চলতি মাসে উপজেলার উবাহাটা ও নরসিংহের গাঁও গ্রামে আরও দুটি ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতরা গৃহকর্তাসহ স্কুলপড়ুয়া ছেলে মেয়েকেও রেহাই দেয়নি। তাদের কুপিয়ে আহত করে মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এসব ঘটনার মধ্যে আদালতে একটি মাত্র মামলা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার কিংবা মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। কারা বার বার এসব ডাকাতির সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে চেষ্টা করছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি (তদন্ত) মো. ইকবাল হোসেন জানান, এসব ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। স্থানীয়ভাবে ইউপি সদস্য কিংবা চেয়ারম্যানরা জানালে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।